• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩৩:০৮ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩৩:০৮ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

রাজস্থলীতে আমেজ নেই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: রাজস্থলীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে তিন মাস বর্ষাব্রত পালনের পর আসে আশ্বিনী পূর্ণিমা। মারমা সম্প্রদায় এই ধর্মীয় উৎসবকে বলে থাকে ‘মাহাওয়াগ্যেয়ে পোয়ে’ অর্থাৎ প্রবারণা পূর্ণিমা, আর তনচংগ্যা চাকমা সম্প্রদায় বলে ওয়া পরপর।প্রতিবছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা উৎসব পালন করে থাকেন। এই উৎসবকে ঘিরে রাজস্থলীকে  চলছে নানা প্রস্তুতি। অপরদিকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক যে ঘটনা ঘটেছে সেটির জের ধরে পাহাড়ে এবার প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব পালন হবে সীমিত পরিসরে। ফলে প্রতি বছর আনন্দের মাতোয়ারা থাকলেও এই বছরের প্রবারণা পূর্ণিমাতে নেই কোন উৎসবের আমেজ।প্রবারণা পূর্ণিমা ঘিরে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী বাঙ্গালহালিয়াতে বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পল্লিগুলোতে নাই এবার কোন উৎসবের আমেজ। পিঠা বানানো ও ফানুস তৈরি করা হয়েছে সীমিত আকারে।বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মতে, প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি বিশেষ উৎসব, যা আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। প্রবারণার মূল হলো ‘বর্ষাবাস সমাপনান্তে ভিক্ষুরা তাদের দোষত্রুটি অপর ভিক্ষুদের কাছে প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্ত বিধানের আহ্বান জানান। এমনকি অজ্ঞাতসারে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমাপ্রার্থনা করা। রাজস্থলী মৈত্রী বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথেরোর জানিয়েছেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা বা মাহা. ওয়াগ্যেয়ে পোয়ে. এবার উদযাপিত করা হবে সীমিত পরিসরে। প্রতি বছরের মতন এই বছরে থাকবে না কোন উৎসবের আমেজ। পরিবারের পক্ষ থেকে তৈরি করা হবে নাহ পিঠা বানানো। আবার আকাশে চুলামনি উদ্দেশ্যে ফানুস উড়ানো হবে মাত্র গুটি কয়েক।তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ছোট থেকে বড় ও নারী পুরুষসহ সব বয়সীরা কিনছেন তাদের ব্যবহারের বিভিন্ন ধরনের পোষাক।রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পূর্ণিমা উৎসব সুষ্ঠুভাবে সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা করছি। এবার সব বৌদ্ধ মন্দিরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় হতে জি আর চাল বিতরণ করা হয়েছে।