চট্টগ্রামের পাহাড়, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় ১০৫ মানবাধিকার আইনজীবীর বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে টিলা ও পাহাড় কর্তন, নদী ও খাল দূষণ-দখলের মাধ্যমে প্রকৃতির যে অবাধ ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তা বন্ধে বিবৃতি দিয়েছেন ১০৫ জন বিশিষ্ট পরিবেশ ও মানবাধিকার আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের পাহাড়, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার প্রায় সর্বত্র নালা, টিলা ও পাহাড় নিধন এবং নদী ও খাল দখলের উৎসব চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চললেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে জামালখানের আসকার দীঘি এলাকায় ভুল রেকর্ড দেখিয়ে পাহাড়কে বাড়ি শ্রেণির উল্লেখ করে চউকের অনুমোদন নিয়ে পাহাড় কেটে দালান নির্মাণ চলছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবশ্যকীয় হলেও নির্মাণকারীরা তার তোয়াক্কা করছে না। এভাবে প্রভাবশালী কিছু লোক বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কেটে চট্টগ্রাম মহানগরীকে শ্রীহীন ইট পাথরের জঞ্জালে পরিণত করছে, যা নগরীর প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে তড়িৎ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ড. ইউনূসের থ্রি জিরোর ধারণা বাস্তবায়ন দুরূহ হয়ে উঠবে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর নামমাত্র জরিমানা করছে। অথচ শহরের অধিকাংশ পাহাড়, টিলা, নালা, খাল ধ্বংস হয়ে গেছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম জেলায় শত শত ইটভাটার জন্য ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ায় গরিব কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চট্টগ্রাম একেবারে পাহাড় ও বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে। এছাড়া পলিথিনের যথেচ্ছা ব্যবহারের কারণে প্রমত্তা কর্ণফুলী নদীও ভরাট হয়ে বন্দর অচল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন পরিবেশ ও মানবাধিকার আইনজীবীরা।বিবৃতিতে সই করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, চট্টগ্রাম জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এএইচএম জসীমউদ্দীন, মহানগর সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, প্যানেল অ্যাডভোকেটবৃন্দ যথাক্রমে আবুল খায়ের, জান্নাতুল নাঈম রুমানা, মোহাম্মদ সাজ্জাদ শরীফ, গৌতম চৌধুরী পার্থ, মো. জিয়া উদ্দীন রানা, এম. সিরাজুল মোস্তাফা মাহমুদ, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহজাহান বেপারী, মো. আবদুচ ছত্তার, এস. এম নাহিদুর রহমান, এইচ এস এম কামরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, হালিমা সাদিয়া বেগম, মোহাম্মদ ইমরান, জিয়াউদ্দীন বাবলু, মোহাম্মদ কাইছার উদ্দীন, রুমানা ইয়াসমিন, শামীম আক্তার, এম আবু বকর তালুকদার, হাজী ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন মাহমুদ, মোহাম্মদ জাহিদুল করিম, সালমা বেগম, শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল করিম, কে এম শান্তনু চৌধুরী, আনোয়ার আলী, মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, রফিকুল আহসান, শেখ জোবায়ের মাহমুদ, কানিজ কাঊসার চৌধুরী, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও মো. রিদওয়ানুল বারী।বিবৃতিতে আরও সই করেন হূমায়ুন কবির, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্, মো. আবু তালেব, মীর ইকরাম উদ্দীন আলমগীর, প্রদীপ আইচ দীপু, আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ ইসমাইল গণি, মোহাম্মদ ইসমাইল মোরশেদ, মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, আকতার বেগম, সেলিনা হুদা চৌধুরী, খুশনুদ রাইসা উশিকা, মোসলে উদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন আরমান, মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন চৌধুরী, আহমদুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, মো. নূর মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৃজন ধর, মো. আনোয়ার হোসেন, খালেদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন, পরেশ চন্দ্র দাশ, সৈয়দ আবুল কাশেম, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রশান্ত কুমার দাশ, মোহাম্মদ রাশেদ ফারুকী, সুনীল কুমার সরকার, সুমন চৌধুরী, আব্দুল আজিজুল হক চৌধুরী, এম নুরুল আবছার, দিলীপ কান্তি সুশীল, নাছির উদ্দীন, মকছুদুল মাওলা, কাজী মফিজুর রহমান, আবু ওবায়দা মোহাম্মদ সাইদ, প্রণব কুমার বিশ্বাস, জিল্লুর রহমান, মজিবুর মুর্শেদ, মো. মুর্শিদ আলম, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সাইফুদ্দিন মানিক, খন্দকার মিজানুর রহমান, সাব্বির আহম্মদ, ইয়াহিয়া শিকদার, আবু ইসা, আসফাক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।