• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৮ই পৌষ ১৪৩১ সকাল ০৭:৪৭:৫৪ (22-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৮ই পৌষ ১৪৩১ সকাল ০৭:৪৭:৫৪ (22-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

টিকটকে প্রেম, মেয়ে রেখে লাপাত্তা প্রবাসীর স্ত্রী

মেহেরপুর প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মাধ্যমে প্রেম। তারপর সেই প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর অভিযোগ উঠেছে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শিলা খাতুন (২৮) নামের এক সন্তানের জননীর।ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে। শিলা খাতুন কল্যাণপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার প্রবাসী সামাদ হোসেনের মেয়ে ও একই গ্রামের কালিতলা পাড়ার প্রবাসী হুসাইন আলীর স্ত্রী।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হুসাইন বামন্দী বাজারের খবিরের মোদি দোকানে চাকরি করতেন। সেখান থেকে শিলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। দেড় বছর প্রেমের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। প্রায় ১৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের একটি ১১ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে হুসাইন তিন বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। সেখান থেকে শিলা ও তার মেয়ের ভরণপোষণ চালিয়ে আসছিলেন।১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহড়াতলা গ্রামের এক ছেলের সাথে চলে গেছেন বলে জানায় শিলা খাতুনের পরিবারের লোকজন। টিকটকের মধ্যমে শিলার প্রেম হয় ঐ যুবকের সাথে।এক বছর আগেও ভবানীপুর গ্রামের এক ছেলের সাথে চলে গিয়েছিলেন শিলা। কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে বিষয়টা পারিবারিকভাবে মিটমাট করে নেন হুসাইন।কয়েকদিন আগে জমি কেনার নামে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন হুসাইনের শাশুড়ি রেনুকা খাতুন। হুসাইনের মা সামছুন্নাহার বলেন, তার ছেলের বউ থাকে তার মায়ের বাড়ি। সেখান থেকে নাকি চলে গেছে। এমন খবর পাই এশার নামাজের পর। পরের দিন শুক্রবার সকালে শুনছি, ছেলের কাছে থেকে জমি কেনার নামে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।হুসাইনের চাচা আব্দুল মান্নান বলেন, সন্ধ্যার পরে চায়ের দোকানে বসে আছি। এমন সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা তাকে ফোন করে শিলার সম্পর্কে জানতে চায়। তখন কিছু বলতে না পারায় সে জানায় শিলা পালিয়ে গেছে কোনো এক ছেলের সাথে। এর পরে ওই বাড়িতে গেলে শিলার মা তার সাথে কোনো কথা বলেননি। পরে শিলার চলে যাওয়ার সত্যতা জানা যায়। এর আগেও সে অন্য এক ছেলের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু তখন বিষয়টা মেনে নিয়ে মিটমাট করা হয়েছিলো। ভাতিজা হুসাইনের কাছ থেকে জানতে পারি, ৪ লক্ষ ২০-৩০ হাজার টাকা কয়েকদিন আগে জমি কেনার নামে নিয়েছে তার শাশুড়ি।হুসাইনের বড় ভাই বলেন, তারা সকালে হুসাইনের শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন টাকা চাইতে। তখন হুসাইনের শাশুড়ি টাকার বিষয়টা অস্বীকার করে। প্রমাণসহ টাকা উদ্ধারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।হুসাইনের শাশুড়ি রেনুকা খাতুন টাকার বিষয় নিয়ে বলেন, তিনি হুসাইনের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। তার জামাইয়ের সাথে কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন নাই। মেয়ে তার বাসায় নাই। কোথায় গেছে তাও জানেন না।