• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:১৭:১১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:১৭:১১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

দ্বিগুণ দামের কারণে ইফতারের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে ফল

পিরোজপুর প্রতিনিধি: ইফতারের বিশেষ খাদ্যপণ্যের মধ্যে দেশি-বিদেশি ফল অন্যতম। তাই রমজান মাসজুড়েই এসব ফলের চাহিদাও থাকে প্রচুর। তবে এবারের রমজানে সব ধরনের ফলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে আপেল, কমলা, আঙ্গুর, মাল্টা, লেবু ও খেজুরের। বাদ যাচ্ছে না দেশি ফলও।ফলের এমন চড়া দামে ক্রেতা সাধারণ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ইফতারের তালিকা থেকেও উঠে যাচ্ছে অনেক ফল। ১৫ মার্চ পিরোজপুর শহরের বিলাশ চত্বর এলাকার ফলের দোকানগুলোতে ঘুরে দামের এমন অস্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমজান মাসে ইফতারের বিশেষ খাদ্য পণ্যের মধ্যে খেজুর, মাল্টা, আঙ্গুর ও তরমুজ অন্যতম। এবার খেজুরের দাম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কার্টুনে বেড়েছে ১ হাজার টাকা। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পিরোজপুরের ব্রান্ড খ্যাত মাল্টার দামও। প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের আঙ্গুরের দাম। ২৪০ টাকার আঙ্গুর এখন ৩০০ টাকা। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ফল কিনতে এসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন না কিনেই।এরই মধ্যে বাজারে উঠেছে তরমুজ। অপরিপক্ব তরমুজের দামেও গলা কাটছে ভোক্তা সাধারণের। গত বছরের তুলনায় এবার ছোট বড় সব সাইজের তরমুজ ১৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অনেকটা ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে। আপেলের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। সবরকম টক ও মিষ্টি কমলা লেবু কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া এক পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০  টাকা। একইভাবে বেড়েছে পেয়ারা, বড়ই, কলাসহ সব ধরনের ফলের দাম।ফল ব্যবসায়ী মো. রাজামিয়া জানান, রমজান মাসে ফলের চাহিদা অনেক। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ মিলছে ঠিকই, কিন্তু দাম অনেক বেশি। এভাবে ফলের দাম বাড়তে থাকলে খুচরা ফল ব্যাবসায়ীরাও বিপদে পড়বে।এদিকে ফল কিনতে আসা ক্রেতা মাইনুল ইসলাম বলেন, ইফতারের জন্য এক কেজি আঙ্গুর, আপেল, কমলা ও মাল্টা কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম শুনে ধাক্কা খেতে হচ্ছে। এই দামের পিছনে মনে হচ্ছে সিন্ডিকেট আছে। যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসনের উচিত রোজার এক মাস ফলের বাজার তদারকি করা।এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায় জানান, রমজানে বাজার স্বাভাবিক করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর কোনো ব্যবসায়ী যদি কৃত্রিমভাবে ফলের দাম বাড়িয়ে থাকে তাহলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ নির্ধারিত দাম থেকে বেশি মূল্য আদায় করলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।