• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:১৩:৪৯ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:১৩:৪৯ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বিলের ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে ইট তৈরি করা হয়। এর ফলে ভোলাকোট ইউনিয়নের এক বিলেই তৈরি হয়েছে দুই শতাধিক পুকুর।আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা নিয়ে এশিয়ান টেলিভিশন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর ২ মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমানসহ পুলিশ সদস্যরা।এ সময় সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মাটি ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে শ্রমিক রা। গা-ঢাকা দেয় মাটি ব্যবসায়ীসহ মদিনা ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল ও জেবিএম ইটভাটার মালিক জাহাঙ্গীর কোম্পানি।ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান। চারদিকে শুধু পুকুর আর পুকুর। কোথাও চাষাবাদের জমি নেই। ইউএনও এবং পুলিশ আসার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় কর্মকর্তারা কথা বলেন ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সাথে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলুকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে উক্ত বিলের মাটি কাটা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন। পাশাপাশি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদারকি করে মাটি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন।কৃষক মো. শাহ আলম ও রাজা মিয়া বলেন, জমির মাটি রক্ষায় কত আন্দোলন করেছি-সংগ্রাম করেছি। কেউ ফিরেও দেখেনি। আজ আমাদের ফরিয়াদ শুনেছেন সৃষ্টিকর্তা। তার দয়ায় ইউএনও এবং ওসি স্যারের কারণে মাটি লুট বন্ধ হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ।ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে। আজও একটি বিলের মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে।রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আমরা এ বিলে এসে মাটি কাটার সত্যতা পেয়েছি। জোর করে মাটি কাটা বা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে যদি কেউ থানায় অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, আমরা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। কোনভাবেই এ বিল থেকে মাটি কাটা যেন না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে রিপোর্ট লেখা হবে। আমরা এখানে আসার পর মাটি কাটার সাথে জড়িত কাউকে না পেয়ে কোনো ধরনের জরিমানা করা যায়নি। তবে তালিকা করা হবে, তালিকা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।