বিএনপির বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর মন্তব্যে উত্তাল টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বিএনপির বিরুদ্ধে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর (বীর উত্তম) করা মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল সখীপুর উপজেলাসহ পুরো টাঙ্গাইলা।৭ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর শহরের তালতলা চত্বরে সমাবেশ করে। এ সময় কাদের সিদ্দিকী বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে।সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু বলেন, কাদের সিদ্দিকী বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর। এটা বাংলার মানুষ আগে বুঝতে পারে নাই। এটা প্রথমে বুঝতে পেরেছিল হাসিনা। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয় নাই। পরে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে (কাদের সিদ্দিকী) দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।শাহজাহান সাজু বলেন, গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার কাছ থেকে কাদের সিদ্দিকী ঢাকা-টাঙ্গাইলের বাড়ি এবং ১০০ কোটি টাকারও বেশি সুদ-ব্যাংক ঋণ মওকুফ করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বাঙালি জাতির সঙ্গে মুনাফেকি করেছিলেন। তার আর বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।তিনি আরও বলেন, কাদের সিদ্দিকী বলেছে বিএনপি নাকি চাঁদাবাজি করে, লুটপাট করে। অথচ সখীপুরের কোনো মানুষ স্বাধীনতার পরে এতো নিরাপদে থাকতে পারে নাই। যা গত ৫ আগস্টের পরে আমরা সখীপুরকে উপহার দিয়েছি। সখীপুরের সকল স্থাপনা ও প্রশাসনকে নিরাপত্তা দিয়েছি, পাহারা দিয়েছি। কাদের সিদ্দিকী ক্ষমা না চাইলে সখীপুরে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করা হবে। ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোনো সময় নির্দেশ আসতে পারে কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করার।সমাবেশে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এদিকে, শনিবার বিকেলে দলের বর্ধিত সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বলেন, আওয়ামী লীগ যে দোষে সর্বহারা হয়েছে। সরকার পতনের পর বিএনপি কিন্তু ওই দোষই করছে। জামায়াতরা বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড দখল করে নাই, বাজার দখল করে চাঁদা নেয় নাই। বিএনপি কিন্তু এমন করছে। আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত, এখন বিএনপি সেখান থেকেই চাঁদা নেয়। হয়ত চাঁদার রেট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে যেভাবে ভাগ নেওয়া যায় সব নেয়। এটা কিন্তু জামায়াত নেয় নাই।কাদের সিদ্দিকীর সখীপুরের বাসভবনে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজনে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল।