• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৯শে চৈত্র ১৪৩১ ভোর ০৪:৫৭:৩০ (03-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৯শে চৈত্র ১৪৩১ ভোর ০৪:৫৭:৩০ (03-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

দোয়ারাবাজারে বিজিবির নাকের ডগায় মৌলা নদীতে লুট হচ্ছে বালু, দেখার কেউ নেই

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে বিজিবির নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে মৌলা নদীতে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। প্রতিদিন ভোর হতে মধ্য রাত অবধি ওই নদী হতে বালু উত্তোলন করে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকার একটি চিহ্নিত বালিখেকো সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে বালি উত্তোলন এবং বিক্রি করে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই।এতে পাহাড়ি ওই নদীর নাব্যতা সংকটসহ নদীর উভয় তীরের বসতিসহ স্লুইসগেটের ভাঙন ঝুঁকি আরও তীব্র হচ্ছে। নিয়মিত বালির গাড়ি আসা যাওয়ার কারণে রাস্তাঘাটের এখন বেহালবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মৌলা নদীতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক, ট্রলি আসা যাওয়ার শব্দে ঘুমানো যায় না। ধুলো বালিতে রাস্তা ঘাট ও বাড়িঘরের অবস্থা এখন বেহাল। আমাদের দুরবস্থা দেখার কেউ নেই।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বাঁশতলা (হকনগর) বিজিবি ক্যাম্পের মাত্র কয়েকশ গজের মধ্যে হকনগর বাজারের পূর্বদিকে আলাউদ্দিনের বাড়ির নিকটে মৌলা নদী হতে কয়েকটি ট্রাক ও ট্রলি বোঝাই করে বালি নেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। নদী হতে হকনগর বাজার পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের রাস্তা করে অবাধে লুট হয় বালু।এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জাহাঙ্গির আলমসহ বালু ও পাথর লুটপাটকারী স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরেই মৌলা নদী হতে অবাধে উত্তোলন করছে বালি। দেখার কেউ নেই। এভাবে বালি উত্তোলন করায় দুই তীরের বসতবাড়িসহ হকনগর স্লুইসগেটিও রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। এছাড়া ইদানীং হকনগর শহিদ স্মৃতিসৌধে পাথর  লুটপাটসহ শহিদ স্মৃতিসৌধ এলাকার সরকারি ভূমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দালানকোঠা ও কয়েকটি বসতঘর। এভাবে সরকারি ভূমি দখল করে স্থানীয় হকনগর বাজারে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই।জানতে চাইলে বালি ও পাথর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম বলেছেন, তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মৌলা নদী হতে বালু উত্তোলন করে সরকারি কাজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন। এতে এলাকার দরিদ্র মানুষেরও কর্মসংস্থানের উপায় হয়েছে বলে জানান তিনি।  বাঁশতলা (হকনগর) বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ওমর আলী বলেছেন, বালি উত্তোলনের বিষয়টি মূলত দেখবার করেন স্থানীয় ভূমি অফিস সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বালি উত্তোলনে আমরা সবসময় বাধা নিষেধ করে আসছি, তবুও একশ্রেণির অসাধু চক্র ওই নদী হতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুশান্ত সিংহ বলেছেন, মৌলা নদীতে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।