এক যুগেও চালু হয়নি মেহেরপুর নতুন বাস টার্মিনাল
মেহেরপুর প্রতিনিধি: শহরের যানজট কমাতে ২০১২ সালে মেহেরপুর শহরে প্রবেশমুখে নির্মিত হয়েছে বাস টার্মিনাল। কিন্তু নির্মাণের দীর্ঘদিন পরেও চালু না হওয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাস টার্মিনাল পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে যে সমস্যার কারণে শহর থেকে বাসস্টেশন স্থানান্তর করা হয় তার সুফল পাচ্ছে না মানুষ।এদিকে নিরাপত্তার অজুহাতে কেউ টার্মিনালে অবস্থান না করায় বাস ও ট্রাকের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ায় কেউ বাস রাখতেও চান না নবনির্মিত স্ট্যান্ডে। ফলে টার্মিনালটি এখন মাদক সেবীসহ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।মেহেরপুর শহরকে যানজট ও পরিবহন খাতে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে এক কোটি টাকা ব্যায়ের ২০১০ সালের ১৫ জুন মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে শহরের উপকণ্ঠে সাড়ে ৮ একর জমির ওপর মেহেরপুর পৌরসভা ইউজিআই প্রকল্পের আওতায় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়।২০১২ সালের দিকে বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এছাড়াও টার্মিনাল ভবনের ভেতর যাত্রী বসার জায়গা, টিকিট কাউন্টার, অজুখানা ও টয়লেট, নামাজের ঘর, হোটেল ও কয়েকটি দোকানও নির্মাণ করা হয়। টার্মিনালটি চালু না হওয়ায়, এর নতুন ভবনটি মাদকসেবীর নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।নতুন বাস টার্মিনালের ভবনগুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল, সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ গড়িয়ে পানি পড়ছে ভেতরে। প্রাচীরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উদ্বোধনের আগেই বিনষ্টের পথে। টার্মিনালটি চালু করতে নতুন করে সংস্কার করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতে না পেরে দূরপাল্লার বাস ও আন্তঃজেলায় চলাচলকারী বাসগুলো হোটেল বাজার মোড় থেকে ছাড়া হচ্ছে। ফলে যে সমস্যার কারণে শহর থেকে বাসস্টেশন স্থানান্তর করা হয় তার সুফল পাচ্ছে না মানুষ।মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, তাছাড়া নতুন টার্মিনালের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অনেকেই সেখানে থাকতে চান না। প্রাচীর ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করতে ২২-২৫ কোটি টাকা লাগবে। যা পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে সম্ভব নয়। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া গেলে টার্মিনালটি সংস্কার করে নতুনভাবে চালু করা হবে।