বাঞ্ছারামপুরে হামলার শিকার কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য তকদির হোসেন

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিম। তিনি বর্তমানে ঢাকায় পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জসিম ছাড়াও তার দুই সঙ্গী এবং অটোরিকসা চালক আহত হয়েছেন।২০ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সেখানে বিএনপির সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা হয়। তকদীর হোসেন জসিমের ব্যক্তিগত সহকারী নবীনগরের লাউর-ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন গাজী বলেন, সম্মেলন শেষে তারা অটোতে করে বাঞ্ছারামপুর ফেরীঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। বোদাইরকান্দি পৌঁছার পর দেড়-দুশো লোক দা, লাঠি, কুচ, বল্লম, রড, হকিস্টিক, রোল নিয়ে তাদের অটো ঘিরে ফিলে।এ সময় তারা তকদীর হোসেন জসিমকে চিনতে পেরে বলে, ‘তোরে না এখানে আসতে মানা করেছি। বড় নেতা অইছত? দেখাচ্ছি মজা।’ এরপরই তাকে অটো থেকে টেনে বের করে নিচে ফেলে লাথি মারতে থাকে এবং দা দিয়ে কোপ দেয়। দায়ের একটি কোপ তার মাথায় লাগে এবং আরেকটি কুপ তারা মাথায় দেয়া হলেও সেটি লক্ষ্যচুৎত হয়ে আমার পায়ে লাগে। অটোতে থাকা আমি ছাড়াও হামলার শিকার হন নবীনগরের কাইতলা বিএনপির সভাপতি মাসুদুল ইসলাম মাসুদ। পরে তারা হোমনা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে ঢাকায় চলে যান।গাজী আরো জানান, বাঞ্ছারামপুর বিএনপির সম্মেলন বিরোধীরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।উল্লেখ্য, বাঞ্ছারামপুর বিএনপির সম্মেলন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। দলের দু'গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গত সোমবার সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশত আহত হন। একই স্থানে দু'গ্রুপ কর্মসূচি বজায় রাখলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঞ্ছারামপুর পৌরশহর ও সম্মেলনস্থল এবং এর আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে এক গ্রুপ সম্মেলন গ্রামে আয়োজন করে। অন্যগ্রুপ বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে।