কাউনিয়ায় প্রাইভেট কার থেকে বিদেশি মদ ও ফেনসিডিল উদ্ধার
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের কাউনিয়ায় প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ১২১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। জব্দ করা হয়েছে মাদক পাচারে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি। তবে এ ঘটনায় কোনো মাদক কারবারিদের আটক করতে পারেনি মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। ২ অক্টোবর বুধবার রাতে কাউনিয়া থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। ওই দিন সকালে উপজেলার সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরগামী একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। রংপুরের মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক দিলারা রহমান জানান, তাদের কাছে তথ্য আসে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেট কারে বিপুল পরিমাণ মাদকের চালান রংপুরের দিকে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে তার নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের আভিযানিক দল তিস্তা সড়ক সেতু টোলপ্লাজায় অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর কুড়িগ্রাম থেকে আসা চট্টগ্রাম মেট্টো গ-১১৫৪২১ নম্বরের একটি প্রাইভেট থামানোর চেষ্টা করে আভিযানিক দল। কিন্তু কারটি দ্রুত গতিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাউনিয়ার সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে কারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাস্তার পাশে মাদক বোঝাই কারটি রেখে পালিয়ে যায় চালক। পরে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে এক হাজার ২১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে। মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক দিলারা রহমান বলেন, পালিয়ে যাওয়া মাদক কারবারি প্রাইভেট কারের চালকের নাম-ঠিকানা পেয়েছেন তারা। প্রাইভেট কার চালক রবিউল হাসান রংপুর গংগাচড়ার মৌষাভা গ্রামে নাজির হোসেনের ছেলে। বুধবার রাতে মাদক কারবারি কার চালক রবিউল হাসানকে আসামী করে কাউনিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনের ধারায় মামলা করা হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শরিফ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলেও মামলাটি তদন্ত করবে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। উদ্ধার হওয়ায় মাদক দ্রব্যগুলো মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর হেফাজতে নিয়েছে। তবে মাদক পরিবহনে জব্দ করা ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি থানা চত্বরে আছে।