• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫৪:২০ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫৪:২০ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা, বন্ধ পাঠদান

বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: বর্ষাকালে বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানায় ঘিরে থাকে, আর ফ্লোরে পানি ওঠার কারণে ব্যাহত হয় টাঙ্গাইল বাসাইল উপজেলার রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বর্ষাকালে নৌকায় করেই বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি ফ্লোর থেকে নেমে গেলেও চারপাশে কচুরিপানা থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারছেন না শিক্ষকরা।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, দুই বছর ধরে শুনতেছি, বিদ্যালয়টির নতুন ভবন করা হবে। এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই এলাকাটি নিম্ন অঞ্চল হওয়াতে বর্ষাকালে মাঠে ও ফ্লোরে পানি উঠে। তখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বিদ্যালয়ের ফ্লোর থেকে পানি নেমে গেছে। বিদ্যালয়ের চারপাশেই কচুরিপানা রয়েছে। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না।রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা আক্তার পপি বলেন, আমি ২০১৮ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই আমি চেষ্টা করতেছি নতুন ভবন ও বন্যা আশ্রয়ণকেন্দ্র আনার জন্য। নিচে খোলা থাকবে আর উপরে পাঠদান চলবে ভবন দরকার এখানে। গতবছরও আবেদন করছি। ২০২১ সালে যখন বড় বন্যা হয় তখনো ছবিসহ আবেদন করছি, কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এবছরও আমি অফিসারদের ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যালয়ের ছবি পাঠিয়েছি। ওনারা যদি ব্যবস্থা না নেন, আমার তো করার কিছু নাই।তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। এতদিন ফ্লোরে এক ফুট পানি ছিল। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার তিনটি পরীক্ষা বিদ্যালয়ে নিতে পারলেও আর তিনটি পরীক্ষা রাশড়া করিম বাজার গ্লোবাল কিন্ডার গার্ডেনে নিতে হয়েছে। তিনটি পরীক্ষা নেওয়ার পর বিদ্যালয়ের ফ্লোরে পানি চলে আসে। পানি ফ্লোর থেকে নেমে গেলেও বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। আশা করছি, সামনে সপ্তাহে থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারবো । জানতে পেরেছি, এই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন আসবে ২৭ নম্বর লিস্টে আছে।বাসাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুম আরা বেগম বীথি জানান, আমি এই উপজেলাতে নতুন এসেছি। শুনতে পেরেছি এই বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছর পানি উঠে। আমি নতুন এলেও রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। শুধু রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না আরও কিছু বিদ্যালয়ে পানি উঠে। এই বিদ্যালয়গুলো বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র করা দরকার ছিল।