• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ১০:১৯:০১ (19-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ১০:১৯:০১ (19-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

সৈয়দপুরে বেগুন আবাদে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: সৈয়দপুরে বেগুন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। চাষে অল্প খরচ এবং লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা বেগুন আবাদে ঝুঁকছেন বলে জানা গেছে।উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মমিনুর রহমান জানান, তিনি এবছর ১৫ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। প্রথম দফায় বেগুন উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন ২ হাজার টাকা। এখনো তিনি বেগুন উত্তোলন করতে পারবেন আরও অন্তত ৭ দফায়।একই এলাকার কৃষক লিটন মিয়া বেগুন আবাদ করেছেন ১৫ শতক জমিতে। ফলন ভালো হয়েছে, তবে এখনো ফল তোলার সময় হয়নি।তারা উভয়েই জানান, বছরে বেগুন চাষ দুইবার করা যায়। শীতকালীন বেগুন চাষ করা হয় শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময় হতে আশ্বিন মাস পর্যন্ত। অপরদিকে বর্ষাকালীন চাষ করা হয় চৈত্র মাসে। ওই সময় বীজ বপন এবং চারা রোপণ কাজ চলে।কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক ফজলুল হক জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে বেগুন চাষ করছেন। এ বছরও জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় জমি থেকে বেগুন উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করেছেন। চাষ করতে যা ব্যয় হয়েছিল তা উঠে এসেছে। এখনো কয়েক দফা জমি থেকে বেগুন তুলতে পারবেন।শ্বাসকান্দর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, বেগুনের বীজতলা তৈরি করতে হয় বালি, কমপোস্ট ও মাটি সমপরিমাণ মিশিয়ে। সবল চারা পেতে প্রথমে বীজতলায় বীজ বুনতে হয়। চারা গজানোর ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে তুলে তা রোপণ করতে হয়। রোপণের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়।দোআঁশ, বেলে দোআঁশ এবং এটেল মাটিতে বেগুন চাষ ভালো হয়। তবে পানি জমে না এমন জমিতে বেগুন চাষ করতে হবে। পানি জমে থাকা জমিতে বেগুন চাষ করলে তা পঁচে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়।বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বিএস জানান, সৈয়দপুর উপজেলার মধ্যে বেশি বেগুনের আবাদ হয়ে থাকে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নে একটি আদর্শ সবজী গ্রাম রয়েছে। এ গ্রামে সকল প্রকার সবজী চাষ হয়ে থাকে।এ গ্রামের বেগুন চাষি মো. কিবরিয়া জানান, তিনি প্রতি বছর বেগুন আবাদ করেন। এ বছর তিনি ৫৬ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। এতে তার ব্যয় হয়েছে মোট ৩০ হাজার টাকা। আশা করছেন, ব্যয় বাদে আয় করবেন লাখ টাকা।ওই গ্রামের আরেক চাষি জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনিও এ বছর ৩০ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে খরচ বাদে তিনি লাভ করেছেন ৫০ হাজার টাকা।সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর উপজেলায় বেগুনের আবাদ বেশি হয়েছে। আমরা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি। ফলে রোগ-বালাই থেকে অনেকটা রক্ষা পায় বেগুন চাষ। বাজারে বেগুনের দাম বেশি থাকায় চাষিরা খুশি।