• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫৮:২২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫৮:২২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

রাজাপুরে পাঠদানের সময় ছাদ ধসে ৫ শিক্ষার্থী আহত

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরে ৩নং পূর্ব সাতুরিয়াা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চালানোর সময় পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসরুমের ছাদের পলেস্তারাসহ ভিম ধসে পরে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।৭ জুলাই রোববার ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চলাকালীন পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ আজম, লিটন খান, রনি হাওলাদার, আব্দুল্লাহ ও জায়েদ আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।এ ঘটনার পর ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পরে এবং আতঙ্কিত হয়ে দিক বেদিক ছুটোছুটি শুরু করে। নতুন ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত আর ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করবেন না বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, আগে থেকেই কম বেশি আমাদের বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পরতো। রোববার ক্লাস চলাকালীন পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ ভিমসহ অনেক স্থানের পলেস্তরা ধসে পরে বিকট শব্দ হয়। এতে আমাদের ৫ জনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘান পাই।অভিভাবক মোজাম্বেল আকন ও ঝর্ণা বেগম জানান, অনেক দিন ধরেই এই ভবনের পলেস্তরা ধসে পরলেও এ বিষয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। আল্লাহ আমাদের কোমলমতি শিশুদের বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। স্কুলে আর কোন পড়াশোনার পরিবেশ নেই। নতুন করে স্কুলের ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ওই স্কুলে আর আমাদের বাচ্চাদের পাঠাবো না।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ৩ বছর ধরে ভবনের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পরা দেখে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলাম। তারা মাঝে মাঝে এসে ঘুরে দেখে যেতেন কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা না করায় আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কোনভাবেই এ স্কুলে এখন আর ক্লাস করানোর পরিবেশ নেই।রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন জানান, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে আবেদন করতে বলা হয়েছে এবং ওই কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে দিতে বলা হয়েছে। যাতে কোন শিক্ষার্থী ওখানে না যায়। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করার পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।