রামপালে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে জোর করে বালু উত্তোলন
বাগেরহাট প্রতিনিধি: রামপালে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে জোর করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে জীবন বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জিল্লুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের শেখ জিল্লুর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে এলাকার প্রভাবশালী এমান হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার ও সোলা কুড়া গ্রামের মৃত. মোহন মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লা জোর পূর্ব বালু উত্তোলন শুরু করে।জমির মালিক শেখ জিল্লুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানোর পর বালু খেকোরা জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জিল্লু। বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।এ বিষয় জিল্লুর রহমান জানান, ৮ জুলাই সোমবার সকাল ৯টায় নাসির ও জুয়েল তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বালু উত্তোলন শুরু করলে আমি বাধা দেই। এ সময় আমাকে তারা ভয় ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিলে আমি ৮ জুলাই সোমবার রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য আবেদন করি।সোমবার বিকালে তহশিল অফিস থেকে লোক এসে বালু কাটা বন্ধ করে চলে যায়। ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আবার তারা বালু উত্তোলন শুরু করলে আমি রামপাল উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছে বলে জানান। তার পরও বালু কাটা বন্ধ না হলে দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাই। তিনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমি জেলা প্রশাসকের অফিসে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করি।এক পর্যায়ে অফিস থেকে জানা যায়, তিনি এখন আর আসবেন না। সচিব আছেন তাই ব্যস্ত। এদিকে বিকাল পাঁচটা ২০মিনিটে জিল্লুর রহমানকে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জানান, এখন মেশিন চললে ভিডিও করে পাঠান। জিল্লু ৫টা ২৫ মিনিটে বালু উত্তোলনের ভিডিও পাঠান ভূমি কর্মকর্তাকে।এদিকে দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এই প্রতিবেদককে মোবাইলে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি আমাকেও জিল্লুর রহমান বলেছে। অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে এক সময় এ এলাকা দেবে যাবে বলে অভিজ্ঞদের ধারণা।উল্লেখ্য সরকার যেখানে অবৈধ বালু উত্তোলনে জিরোটলারেন্স ঘোষণা করেছেন সেখানে প্রশাসনের কেন এত তালবাহানা। ৬ জুলাই রামপাল শ্রীফলতলা মোড় ও বাঁশতলী ইউনিয়নে ইসলামপুর গ্রামে আবু সাইদ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি নির্বাহী অফিসারকে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।