সমন্বয়ক পরিচয়ে এবার বিয়ে বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগ
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে মেরুরচর খাঁ পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাংবাদিক পরিচয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে প্রকৃত সমন্বয়কদের খবর দিলে মোটর সাইকেল রেখে পালিয়ে যায় ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী চাঁদাবাজরা। খবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থল থেকে চাঁদাবাজদের ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার রাতে উপজেলার মেরুরচরের খাঁ পাড়া এলাকায় দুই পরিবারের সদস্যদের সম্মতিক্রমে চাচাতো ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে হয়। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর খাঁ পাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে কথিত সমন্বয়ক শাহরিয়ার আহমেদ সুমন মেরুর চর গ্রামের নূর ইসলাম মাষ্টারের ছেলে জিসান ও ফজলু মন্ডলের ছেলে লাজুসহ ৪/৫ জনকে ওই বিয়ে বাড়িতে পাঠায়।কথিত সমন্বয় শাহরিয়ার আহমেদ সুমনের কথামতো তারা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দরকষাকষির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হন সুমন। মধ্যস্থতার অজুহাতে মেয়ের পরিবারের সাথে চলে দরকষাকষি। এক পর্যায়ে সুমনের হুমকি ধামকিতে অসহায় কনের বাবা সুমনের হাতে ৬ হাজার টাকা দেন। সুমন বলেন, যারা আসছে তাদের ম্যানেজ করতে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা দিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন কনের অভিভাবকরা।এক পর্যায়ে মেয়ের বড় ভাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়কদের ফোন দেন। খবর পেয়ে সমন্বয়ক রাশেদুজ্জামান রাজু, সাদসহ ৬-৭ জন বিয়ে বাড়িতে যান। তাদের দেখে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় ভুয়া সমন্বয়ক ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী চাঁদাবাজরা। তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন সুমন।তখন নিজ এলাকায় তোপের মুখে পড়েন সুমন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এই ঘটনায় সুমনকে গ্রেফতারের দাবি জানায় এলাকাবাসী।