রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করায় কুমিল্লায় ৩ জন আটক
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা সদরে ভুয়া পরিচয়ে এক রোহিঙ্গা তরুণকে পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।দুদিন আগে আটক রোহিঙ্গার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান।আটকদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।আটকরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার ব্রাহ্মণচাপিতলা গ্রামের মো. ফয়সাল মিয়া (২৮), বাখরনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (২২) এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওরা পশ্চিমপাড়া এলাকার আবুল বাশার মিস্ত্রির ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪২)।পুলিশ জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে কাগজপত্র জমা দিয়ে আঙ্গুলে ছাপ ও ছবি তুলতে গেলে ১৯ বছর বয়সি মো. ইয়াছিরকে সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। পরে তাকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণ পুলিশকে জানান, তিনি মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। ২০ দিন আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯ এ আসেন।এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়। পরদিন শুক্রবার ওই রোহিঙ্গা তরুণকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আবেদন করে পুলিশ। তারপরই যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ফয়সালকে শনিবার দুপুরে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।মোশারফকে গ্রেপ্তারের সময় আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়ায় তার প্রতিষ্ঠান ‘আল-মদিনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস’ থেকে ছয়টি পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় পাসপোর্ট আইনে আলাদা একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।মোশারফ ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করেছেন বলে ভাষ্য পুলিশের।ওসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, কম্পিউটার অপারেটর শরীফকে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকার ‘নকিব ট্রাভেলস’ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আটটি পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র জব্দ করা হয়।অভিযানের সময় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক নাসির উল্ল্যাহ (২৮) পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় পাসপোর্ট আইনে আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।