• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৪৫:১৩ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৪৫:১৩ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

কুমিল্লায় দাফনের ৭ দিন পর জীবিত ফিরলেন তরুণী

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে দাফনের ৭ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।রোকসানার ভাই ওবায়দুল হক সাংবাদিকদের জানান, ১৭ জুন ২০২৪ ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত রোকসানার খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান। ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে একজন নারীর মরদেহ পড়ে আছেন। তারা সেখানে গিয়ে মরদেহের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে জানান। এর মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ মরদেহটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে স্থানীয়দের রোকসানার ছবি দেখিয়ে মরদেহটি একই রকম কি না জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।পরে এবায়দুল হক আত্মীয়স্বজনসহ ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। পরে তারা রোকসানার মরদেহ শনাক্ত করেন। পর দিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারকে হস্তান্তর করেন। ওইদিন বাদ আছর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দিঘির দক্ষিণ পাড়ে দাফন করা হয়।চাঞ্চল্যকর ঘটনার নিউজটি সর্বপ্রথম এশিয়ান টিভিতে ৩০ জুন প্রচার করা হয় এবং সাথে সাথে নিউজটি ভাইরাল হয়ে পড়লে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মৃত রোকসানা আক্তার জীবিত হয়ে ফিরে আসছে খবর পেয়ে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আসতে শুরু করে তাকে দেখার জন্য। পরে আস্তে আস্তে প্রত্যেক টেলিভিশন মিডিয়াতে নিউজটি প্রচার হয় এবং ঘটনাটি সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়।ফেনীর চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশে বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা সময় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি জাকিয়া সরওয়ার লিমার উপস্থিতিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী রাজবল্লভপুর শামিসকরা দীঘিরপাড় পারিবারিক কবরস্থান থেকে অজ্ঞাত নামা মহিলার দাফন করা মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় ভূমি সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সরোয়ার লিমার সাথে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার সৈয়দ মুনসুর ইনাম।ফেনী সদর মডেল থানার পুলিশ টিম ও চৌদ্দগ্রাম কনকাপৌত পাড়ির একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন । ভিক্টিম অজ্ঞাতনামা মহিলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ফরেনসিক টিমে পাঠানো হয়েছে। ফেনী সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।