ছাত্রফ্রন্টের উদ্যোগে ঢাকা কলেজে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা কলেজ শাখা। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজ শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে মাওলানা ভাসানীর স্মরণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা কলেজ শাখা সভাপতি নাহিয়ান রেহমান রাহাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার জীবনের সংগ্রাম মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। শুধু পোস্টার ফুল দেওয়া নয়, স্মরণ করার তাৎপর্য হচ্ছে ভাষানীর লড়াকু জীবন, তার চিন্তা, চরিত্রকে স্মরণ করা। উনি মাওলানা নয় মানুষ উনাকে ভালোবেসে মাওলানা বলেন। মাওলানার প্রথাগত কোনো ডিগ্রি ছিল না। মাওলানার লড়াইয়ের ইতিহাস সকলের জানা দরকার। কোন স্বৈরাচার শাসক ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না। আইয়ুব খান থেকে এরশাদ যেমন শিক্ষা নেয়নি তেমনি এরশাদের পরিণতি থেকে হাসিনা শিক্ষা নেয়নি। ন্যায্য অধিকার থেকে বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামে ভাসানী প্রেরণা হয়ে থাকবে। ভাষা আন্দোলন, শহীদ মিনার নির্মাণে মাওলানার ভূমিকা ছিল। আমরা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মাওলানার লড়াইয়ের দিক যেমন তুলে ধরি এর সাথে দুর্বলতার দিক তুলে ধরি। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান মাওলানা লড়াইয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক ছিল।মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণ করেছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ একপেশে বয়ানের মাধ্যমে কালিমা লেপন করেছে। দেশ স্বাধীনের পরে বিভিন্ন সংকটে মাওলানা আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে গেছে। এদেশের মেহনতি মজলুম মানুষের জন্য আজীবন আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছে। আজকে ছাত্র রাজনীতি মানে হল দখল, চাঁদাবাজি, সেই পরিবেশ আবার ফিরে আসুক আমরা চাই না। মাওলানা অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। মাওলানা ভাসানীকে তুলে ধরা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করে।আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে নাহিয়ান রেহমান রাহাত বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য স্যালুট দেওয়া, ফুল দেওয়া না। আমরা মাওলানা ভাসানীর জীবন থেকে শিখবো। ছাত্র শিক্ষক সংকটে যেকোনো লড়াইয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শিক্ষার্থীদের সাথে থাকবে। অতীতের ন্যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। যেকোনো সংকটে আমরা আজীবন সংগ্রাম করে যাব।