শরীয়তপুরে স্টেডিয়াম মাঠ ফিরিয়ে দিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম মাঠ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। ওই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে জেলা প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে প্রাণের শরীয়তপুর নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি মো. রিয়াদ আহমেদ।২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম মাঠের মূল ফটকে মানববন্ধনকালে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে সংগঠনটির সদস্য ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ শরীয়তপুরের শিক্ষার্থীরা হাতে লেখা পোস্টার হাতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়।এ সময় প্রাণের শরীয়তপুরের সভাপতি মো. রিয়াদ আহমেদ বলেন, মাঠের খেলা বন্ধ করে রাতের আধারে স্টেডিয়ামে ক্ষতবিক্ষত করে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যার অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। তারাই আমাদের তরুণ সমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই স্টেডিয়াম মাঠে খেলোয়ারদের পাশাপাশি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে। আমাদের জেলায় খেলাধুলা করার জন্য এই একটি মাত্র জায়গা।এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, মাঠটিতে পূর্বের মত অনুশীলন উপযোগী করার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের দ্রুত ফিরিয়ে আনুন। তবে জনগণের টাকা খরচ করে মাঠ সংস্কারের নামে কোন বাণিজ্য করা যাবে না। যিনি এ তামাশা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তাকেই এই মাঠ সংস্কার করে দিতে হবে। এছাড়াও আমাদের খেলোয়াড়দের মাঝে মাঠটিকে নতুন করে আধুনিকায়ন করে সাজিয়ে দিতে হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) অভিজিৎ সুত্রধর বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত মাঠ সংস্কার করে দেয়া হবে।উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলার একমাত্র মাঠ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম। মাঠটিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা শিল্প ও বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেয়। পরে আয়োজকরা খোঁড়াখুঁড়ি করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে। এতে তিন সপ্তাহ ধরে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। মাঠ হয়ে পরে জরাজীর্ণ। এমতাবস্থায় বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে মেলা বন্ধ হলেও মাঠ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।