• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪২:৫৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪২:৫৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলায় জেলায় লাশের মিছিল

নিজস্ব প্রতিনিধি: সীমান্ত হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হয়েছে প্রতীকী লাশের মিছিল। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন হানিফ বাংলাদেশি, নুরুল আজিম, সৌরভ, আরিফ ও নিরব নামের যুবকদের একটি দল। এছাড়া  সীমন্তবর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে স্থানীয় মানুষ অংশ নিবে।১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে হানিফ বাংলাদেশির নেতৃতে ছাগলনাইয়া উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচিটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে। বাংলাদেশের ভিতরে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবেন তারা।   কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সব সময় সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। কিছু দিন আগেও বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে।বিগত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশি বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের হিসেব মতে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশিকে বি এস এফ হত্যা করেছে। এমন ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১৮৩ জন।  মিয়ানমারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গেল বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।  হানিফ বাংলাদেশি আরও বলেন, বাংলদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়, কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর, এরা চোরাকারবারি হতে পারে। এরা গরু চোর, চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, গুলি করে হত্যা করবে? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারীরা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।    হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারণে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।বিদেশী আন্যান্য দেশগুলো বাংলাদেশের উপর তাবেদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি। নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আত্ম মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে বাঁচতে চায়।    হানিফ বাংলাদেশি বলেন, এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যে দিন যে জেলা বা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যে কোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহবার জানান তিনি।