হাজিরা দিতে এসে মারধরের শিকার কুমিল্লা বারের সাবেক সেক্রেটারি
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অর্থ আত্মসাতের মামলায় হাজিরা দিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন সাবেক বার সেক্রেটারি।১৭ মার্চ সোমবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ওই বার সেক্রেটারির নাম মো. আবু তাহের। তিনি কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।এ ঘটনার পর তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন ওই আদালতের বিচারক।জানা গেছে, প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের ও হিসাবরক্ষক কাজী সুমনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া।মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ কার্যকালে উভয়ে মিলে চার কোটি ২৪ লাখ ৭২০ টাকা আত্মসাৎ করেন।আবু তাহের হাইকোর্ট থেকে অর্থ আত্মসাতের মামলার আগাম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন। দুপুরে মাস্ক পরে এজলাসে যাওয়ার পথে আইনজীবীরা তাকে ধাওয়া করেন। এসময় তিনি দৌড়ে এজলাসে ঢুকতে যাওয়ার আগেই আইনজীবীরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে তিনি এজলাসে ঢুকে পড়েন। এসময় আইনজীবীরা তার ওপর হামলার চেষ্টা করলে বিচারক চলে আসেন। পরে আইনজীবীরা এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠান।এদিকে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর সময় আবার আইনজীবীরা জড়ো হতে থাকেন। বিকেল ৩টার আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, তিনি বারের তথা সাধারণ আইনজীবীদের টাকা মেরে খেয়েছেন। আইনজীবীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আদালতে। তিনি এখন কারাগারে আছেন। কুমিল্লা আদালতের পিপি কাইমুল হক রিংকু বলেন, বারের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আইনজীবীরা তাকে পাকড়াও করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানো হয়েছে।