পুলিশের গুলিতে আহত শামসুলের মৃত্যু, অসহায় পরিবার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন রাজধানীর শনিআখড়ায় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেলেন লক্ষ্মীপুরের শামসুল ইসলাম। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এমন মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবার।৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে ৫ আগস্ট সকালে তিনি শনিআখড়া ব্রিজের উপর পুলিশের গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তিনি শনিআখড়া ব্রিজের উপর অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশের ছোঁড়া একটি গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে মুগদা মেডিক্যালের আইসিইউতে নেয়া হয়।নিহত শামসুল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে।নিহতের স্ত্রী আর্তনাদ করে বলেন, ‘আমার সবকিছু হারিয়ে গেল। আমি কার কাছে এর বিচার চাইবো। আমার বাচ্চারা এতিম হয়ে গেল।’নিহতের শ্যালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুলাভাই খুবই সহজ সরল মানুষ ছিল। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে দুলাভাই বরাবরই সমর্থন করে আসছিলেন। তবে হঠাৎ করে সব এমন হয়ে যাবে ভাবি নি।’তিনি আরও বলেন, ‘দুলাভাইয়ের আয়ে আপাদের সংসার চলে। এখন সে নাই, তিনটা ছোট বাচ্চা নিয়ে আপা কীভাবে চলবে। কে তাদের আর আদর যত্ন করবে?’ব্যক্তি জীবনে শামসুল ইসলাম তিন সন্তানের জনক। তিনি ঢাকার গুলিস্তানের নগর প্লাজাতে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।