রংপুর সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু: গ্রেফতার চিকিৎসকদের মুক্তির দাবি
রংপুর ব্যুরো: সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহ বন্ধ ও রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার ডা. মিলি, ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে অবস্টেট্রিক্যাল গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)।৯ জুলাই রোববার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে রংপুরে কর্মরত সকল ধরনের গাইনোলোজি চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।গ্রেফতারদের মুক্তির দাবি জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা ২৪ ঘন্টাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। সেবা দিতে গিয়ে এক্সিডেন্ট হতে পারে। যদি চিকিৎসকের অবহেলা থাকে, আইনানুযায়ী তদন্ত করে তার বিচার হবে। কিন্তু তদন্ত ছাড়া চিকিৎসদের গ্রেফতার করার কোনো যুক্তি নেই।এ সময় বক্তারা আরও বলেন, আমরা এখন ডেলিভারি করাতে ভয়ে থাকি। কারণ যদি এক্সিডেন্টে কিছু হয়, তাহলে তো জেল খাটতে হবে। ভয় নিয়ে তো চিকিৎসা হয় না। তাই আমরা এর একটা সুরাহা চাই। গ্রেফতারদের মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে, যে প্রকৃত দোষী তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। কিন্তু হয়রানি, ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করা হলে, আমরা তা মেনে নেব না।মানববন্ধনে অংশ নেয়া ওজিএসবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. শাহী ফারজানা তাসনিম বলেন, গাইনোকোলজি চিকিৎসকরা ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়। তারা সেখানে গিয়েছিল রোগীকে বাঁচাতে, মার্ডার করতে নয়। তারপরও সেখানে যেহেতু মা-সন্তান দু’জনই মারা গেছেন, আমরা এঘটনায় সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।তিনি আরও বলেন, আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, তবে তদন্ত ছাড়া গ্রেফতার করাটা দুঃখজনক। তৃতীয় একজন ব্যক্তি তাদের জীবন বাঁচাতে এসেছিলেন, তাকেও নিম্ন আদালতে হাজির হতে বলেছে। আমরা দাবি করছি, তাদের জামিন দিক। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেখানে আমরা কোনো দ্বিমত পোষণ করব না।মানববন্ধন সমাবেশে অংশ নেয় রমেক হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. আজিজুল হক, গাইনোলোজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শারমিন সুলতানা লাকী, অবস্টেট্রিক্যাল গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) রংপুর শাখার সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. আনিসা বেগম প্রমুখ।