মুসলিম বিবাহ আইন বাতিল হচ্ছে আসামে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে বিজেপিশাসিত আসামে মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ আইন বাতিল হচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।এর ফলে রাজ্যটিতে ১৯৩৫ সালের মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ আইন বাতিল হতে চলেছে। একইসঙ্গে বহুলালোচিত ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালুর পথে একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য সরকার।রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবরুয়া বলেছেন, ব্রিটিশ আমলের আইন এখন রাজ্যে প্রয়োজন নেই। আগামীতে রাজ্য বিধানসভায় বিল পেশ করবে সরকার।মন্ত্রী জয়ন্ত বলেন, ‘আমরা রাজ্যে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি এবং বিবাহ বিষয়ক আইন সংশোধন এর মধ্যে অন্যতম। ১৯৩৫ সালের মুসলিম বিবাহ এবং বিচ্ছেদ আইন এখন আমাদের রাজ্যে প্রয়োজন নেই। ক্যাবিনেটে ওই ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১৯৩৫ সালের আইন আসমে আর চলবে না। আমরা আগামীতে ওই আইন বাতিলের জন্য বিল পেশ করব। পুরোনো মুসলিম আইনের অধীনে যখন তখন মেয়েদের বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।’জয়ন্ত মল্লবরুয়া বলেন, ‘সব মুসলমান বিবাহ-সম্পর্কিত বিষয় এখন বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে পরিচালিত হবে। বর্তমানে আসামে যে ৯৪ জন কাজি রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে এককালীন দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’ ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমিএ প্রসঙ্গে ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দেশটির ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা নির্বাচনী চমক। দেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে তাদের বিফলতা থেকে জনসাধারণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যান্য কৌশলের মধ্যে এটাও একটা কৌশল। এটা ভোটের মেরুকরণের একটা অপচেষ্টা।’বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তো আগেই এ সংক্রান্ত আইন (ট্রিপল তালাক বিরোধী আইন) তৈরি করেছে। তাহলে কী ওই আইনে কোনো ত্রুটি আছে, যার ফলে আরেকটা আইন আনতে হচ্ছে? এটা রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এসব না বলেই তারা যখন এটা করতে যাচ্ছে, সেজন্য এটা নির্বাচনী চমক এবং ভোটের মেরুকরণের অভিসন্ধি ছাড়া কিছু নয়।’ সূত্র: পার্সটুডে।