• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫৭:২৯ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫৭:২৯ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

নবীনগরে মেঘনায় বালু উত্তোলনে নদী গর্ভে বিলীনের পথে কয়েকটি গ্রাম

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের মানিকনগর থেকে কান্দাপাড়া বরিকান্দি পর্যন্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। যে কোন মুহূর্তে কয়েকটি গ্রাম মেঘনা নদীতে বিলীন হওয়ার ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এরূপ ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসীরা।এ নিয়ে গেলো কয়েক দিন আগে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘরের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের জন্য আহ্বান জানান সকলে। মানববন্ধনে গ্রামের সর্বস্তরের নারীপুরুষ, যুবসমাজ, ছাত্রজনতা, বয়স্ক লোকজনসহ সর্বস্তরের মানুষজন নদীর পাড়ে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে ওই কর্মসূচি পালন করেন।অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্রগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, বিদ্রোহী কাওসার আলম, সাকিব আহমেদ জামাল, অরুণ মিয়া, সেন্টু মোল্লা, নুর মোহাম্মদ নীবির, সামসুল আলম, সাত্তার মিয়া, মোমেন আলমসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এসময় বক্তারা বলেন, বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ মৌজায় সরকারিভাবে বালু উত্তোলনের ইজারা থাকলেও ইজারাদারগণ শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ, চরমানিকনগর মৌজায় ঢোকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এর ফলে সাহেবনগর, নাছিরাবাদ, মানিকনগর বাজার, শ্রীঘর কান্দাপাড়া, বড়িকান্দি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তাই এই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার নদীর পাড়ের ফসলি জমি, বাজার ও শতশত ঘরবাড়ি রক্ষার্থে স্থায়ীভাবে বড়িকান্দি থেকে মানিকনগর বাজার পর্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার আহ্বান জানান।১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গিয়ে কথা হয় কান্দাপাড়া গ্রামবাসীসহ অনেকের সাথে। উনারা জানান, প্রতিদিন মেঘনা নদীতে শতাধিক ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আমাদের গ্রামটি ভাঙতে শুরু করেছে। মাত্র এক মাসে হারিয়ে গেছে নদী গর্ভে তিন বিঘা জমি। প্রতিদিন জমি ভেঙে নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন যদি নদীর পাড়গুলোতে বালির বস্তা, সিমেন্টের বস্তা বা ব্লক ফেলা না হয় তাহলে সমস্ত গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে। কান্দাপাড়া গ্রামসহ কয়েকটি এলাকার মুছে যাবে নাম নিশানা। তাই অবিলম্বে মেঘনা নদীর অবৈধ ড্রেজার বন্ধ ও আমাদের নদী পাড়ে ব্লক দেওয়ার অনুরোধ করছি নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও বর্তমান সরকারের কাছে।এ সময় উপস্থিত লোকজন অভিযোগ করে জানান, নবীনগর উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বমহলকে জানানোর পরও আমরা এর কোন প্রকার সাড়া পাচ্ছি না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পলাতক রয়েছে, তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, মেঘনা নদীর শ্যামগ্রাম অংশে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা থেকে কিছু অসাধু লোক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর পাওয়ার পর ইতোমধ্যে দুইবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ২টি ড্রেজার জব্দ ও জরিমানা করা হয়। তারপরও তারা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে শুনলাম, শীঘ্রই আবার অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।