ইবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও টানা ১৭ দিন র্যাগিং, আটক ৬
ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে (৩৩০ নং) ও পার্শ্ববর্তী মেসে নবীন শিক্ষার্থীদের টানা ১৭ দিন র্যাগিং এর ঘটনা ঘটেছে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাতে র্যাগিং এর এক পর্যায়ে ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং দেয়ার সময় অভিযুক্ত কয়েকজন সিনিয়রকে হাতে নাতে ধরা হয়।এসময় র্যাগিং এর শিকার ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের উপর অসহনীয় নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিচয় শেখানোর নামে যৌন বিকৃতি মূলক আচরণ করানো হয় তাদের সাথে। নীল ছবির বিভিন্ন চরিত্রসহ নানান অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় এসব শিক্ষার্থীদের সাথে। ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শফিউল্লাহর নেতৃত্বে ৯ জন শিক্ষার্থী মিলে নবীন ব্যাচের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল বলে জানা যায়।অভিযুক্ত ৯ জন শিক্ষার্থীর অন্যরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ২০২২/২৩ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল, মুকুল, সাব্বির, লিমন, শিহান, কান্ত বড়ুয়া, জিহাদ এবং ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্চয়। তৎক্ষণাৎ হাতেনাতে ধরা ৬ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।ভুক্তভোগী আমির হামজা, শামীম রেজা, রাকিবুল হাসান, আবু সাইম সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী।অভিযুক্ত সঞ্চয় বলেন, আমাদের ছোটভাই হামজার সাথে সন্ধ্যায় দেখা হলে মন খারাপ দেখতে পাই। পরে আসলে আমি তাকে আলাদাভাবে রেখে দেই। তখন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয় নাকি তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। যৌন বিকৃত মূলক আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অস্বীকার করেন।এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, যেহেতু একটা মব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই আপাতত তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। সকালে এসে আমরা ব্যবস্থা করবো।ইবি থানা কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত তারা আমাদের হেফাজতে আছেন। পরবর্তী আআগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে বসে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।