উত্তরায় ৩২ জন ‘রত্মগর্ভা মা’কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব মা দিবসে উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে ৩২ জন ‘রত্মগর্ভা মা’কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক মা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ১৩ মে সোমবার বিকেলে উত্তরা লেডিস ক্লাব অডিটোরিয়ামে মহতি এই আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মায়েদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য শাহিদা তারেখ দিপ্তী ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি মো. খসরু চৌধুরী।আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, মায়ের গুরুত্ব কতটুকু আমরা রক্ষা করতে পারছি? এটা কিন্তু সময়ের বড় চিন্তা। এখন আমরা দেখি, বৃদ্ধাশ্রমে যেখানে বাবা-মাকে রেখে আসা এই কালচার কিন্তু আমাদের দেশে ঢুকে গেছে।তিনি বলেন, বৃদ্ধাশ্রম ব্যবস্থায় কোন মা সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। আর তাই সন্তানদেরকে বাবা-মা উভয়কেই সম্মান ও তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী বলেন, আমার মায়ের রান্না এখনো আমার মুখে লেগে আছে। আজকে মা যেসব মায়েরা সামনে বসে আছেন, তাদেরকে দেখে আমার মাকে খুব অনুভব হচ্ছে। এমন একটি আয়োজনের মাধ্যমে রত্মগর্ভা মায়েদের সম্মাননা জানানোর ব্যবস্থা করায় আমি উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।‘মা’ সন্তানের আদর্শ বিদ্যানিকেতন শীর্ষক আলোচনাটিতে এসময় মায়েদের গুরুত্ব তুলে ধরে সংসদ সদস্য শাহিদা তারেখ দিপ্তী বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মায়েদেরকে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। যাদের পরিবারের বৃদ্ধ বাবা-মায়েরা আছেন, আসুন আমরা সবাই তাদেরকে যথাযথভাবে সেবা করি।এসময় আমন্ত্রিত রত্মগর্ভা মায়েদের হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ তারেকউজ্জামান খান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি রত্মগর্ভা মায়েদেরকে সম্মান জানানোর। আমাদের এই প্রচেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন। সমাজে একটি আলোর শতদল গড়তে চাই আমরা।বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী আশরাফুল আলম সবুজের সঞ্চালনায় ও উত্তরা লেডিজ ক্লাবের সভাপতি ইসমে আরা হানিফের সভাপতিত্বে আয়োজনটিতে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ডিএনসিসি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মুনিরা ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।