• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৯ই মাঘ ১৪৩১ সকাল ১১:১৪:২৫ (22-Jan-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৯ই মাঘ ১৪৩১ সকাল ১১:১৪:২৫ (22-Jan-2025)
  • - ৩৩° সে:

বিগত ১৭ বছর শত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিল: রাজীব আহসান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের সাথে আমাদের হৃদয়ের সম্পর্ক। আপনারা আছেন বলেই আমরা গত ১৭ বছর বেঁচে ছিলাম, টিকেছিলাম। এই সাংবাদিকরা ছিল বলেই আমরা বেঁচে ছিলাম। এত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও উনারা কিন্তু আমাদের পাশে ছিল, তাছাড়া কেউ ছিল না।  ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকায় মেডিস্টার হাসপাতাল ও রেনেসাঁ ল্যাবের সামনের সড়কে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়ে কর্মীসভার সংবাদ কভার করতে আসা গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, কথায় কথায় বলবে ২৪ এর চেতনার বিরুদ্ধে কথা বলছে। চেতনা নষ্ট হলে অমুককে তুলে নিয়ে যাবো, দেখিয়ে দিবো। মানুষ এগুলো ভালোভাবে নেয় না। এই ২৪ এর আন্দোলনে ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। আজকের এ দিন পর্যন্ত এ সরকার সঠিক শহীদ ও পঙ্গুদের সংখ্যাটাও বলতে পারল না। আমরা প্রথম থেকে বলছি এ পরিবারগুলো জীবন দিয়ে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে৷ মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তারা জীবন দিয়েছে। এ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করুন। অথচ এখনও প্রকৃত শহীদের সংখ্যাটাই জানাতে পারছে না এ সরকার।রাজীব আহসান বলেন, আজ সারা দেশে অনেক ধরনের নেতা আছে। রাজনৈতিক নেতা আছে আবার অরাজনৈতিক নেতাও আছে। রানা, বাবু, রাজীব, শাহেদরা গত সতেরো বছর লড়াই করেছে। আজ যারা নিজেদের নেতা দাবি করছেন, এমনকি যারা সরকারে, তাদের অনেকেই শেখ হাসিনার দালালি করেছেন৷তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে চারটি থানা আছে। আজকের পর চারটি নতুন কমিটি হবে। সেই নতুন কমিটির জন্যই আজকের এই কর্মীসভা। বাংলাদেশে ঢাকার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুয়েকটি জায়গার মধ্যে একটি নারায়ণগঞ্জ। গত সতেরো বছরে স্বেচ্ছাসেবক দল নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। যখন অনেকে ছিল না। পুলিশের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মানুষের উপর গুলি চালানো একটি ডালভাত ব্যাপার ছিল। তারা মানুষকে মানুষ বলে মনে করত না। সেসময়ও রানা, বাবুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে ছিল। সংখ্যায় যতই হোক, তারা রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। এ সরকারকে পরিচালনাকারী কিছু ছাত্রনেতা মানুষের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই চেতনা একদিনে তৈরি হয় না। নষ্ট কিন্তু খুব সহজেই হয়। মানুষ ভোটাধিকার চায়, মুখ ফুটে কথা বলতে চায়।রাজীব আহসান আরও বলেন, আমাদের নেতা বলেছে এ সরকারকে সহায়তা করতে। মানুষের ভালো সময় আসলে অনেক বন্ধু তৈরি হয়৷ এখন এ সরকারের অনেক বন্ধু আছে। যারা এ সরকারের আওয়ামী লীগের আমলে বিপদে পড়েছেন, সহানুভূতি দেয়ার জন্য তারেক রহমান ছাড়া কেউ ছিল না।স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি। শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ প্রতিটি শহীদ পরিবারে যারা কর্মক্ষম তাদের একটি করে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। দুই হাজার লোক শহীদ হয়েছে। রাষ্ট্র আন্তরিক হলে দুই হাজার লোকের চাকরি দিতে চারদিন সময় লাগে। দশ হাজার পঙ্গু হয়ে থাকলে তাদের পুনর্বাসন করতে এক সপ্তাহ লাগে।দলীয় সংগঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে যে নেতৃবৃন্দ আছেন, দল থেকে যে ভালোবাসা অর্জন করেছেন তার কতটা রক্ষা করতে পেরেছেন তা দেখার বিষয়। জনগণের আস্থা নষ্ট করা যাবে না। দলের নেতৃত্ব আমার হাতে, এটি একটি আমানত। এর জবাবদিহি দলের হাইকমান্ডের কাছে করতে হবে। ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে কেউ না৷ কিন্তু সবাইকে নিয়েই দলটা করতে হবে। নেতৃত্বে যিনি আছেন তাকে মেনেই দল করতে হবে।দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নেতৃত্বে যারা আছে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করবেন না৷ নারায়ণগঞ্জে আসতে দিবো না, করতে দিবো না এগুলো বলবেন না। নারায়ণগঞ্জে একজন বলত খেলা হবে। যখন খেলা শুরু হল তাদের আর পাওয়া যায়নি। র‍্যাব পুলিশ সাথে নিয়ে বলা যায় খেলা হবে। এখন তো লেভেল প্লেইং ফিল্ড রয়েছে, আসুন এখন।নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজীব আহসান বলেন, অনেকে বলে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এগুলো স্রেফ কুতর্ক। আমরা কী একবারও বলেছি সংস্কার চাই না। আপনারা ছয় মাস ধরে আছেন। এখনও তো বলতেই পারছেন না আপনারা কী করতে চান। অথবা আপনারা অন্যের প্রেসক্রিপশনে চলছেন। বিএনপি সংস্কার চায়, দ্রুত সংস্কার চায়। বিএনপি চায় জনগণের অধিকার দ্রুত জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক।তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান অনেক কষ্ট করেছেন। মাসের পর মাস একজন অসুস্থ মানুষকে আমরা প্রতিদিন সেই আলিয়ে মাদ্রাসার কোর্টে নিতাম, আনতাম। ছয় বছর তিনি জেল খেটেছেন। আমরা অনেক সহযোদ্ধাদের সাথে সকালে মিছিল করেছি বিকেলে কবরে নামিয়ে দিয়ে এসেছি। রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। অনেক অভিযোগ রয়েছে আপনাদের বিরুদ্ধে। তারেক রহমান মিথ্যা কথা বলে রাজনীতি করে না। এ পর্যন্ত আমরা হাজারও নেতাকর্মী দল থেকে বহিষ্কার করেছি। স্বাধীনভাবে চলতে পারছেন, এটাই তো শুকরিয়া। নিজেকে সংযত রাখতে চেষ্টা করবেন। দল থেকে একবার ছিটকে গেলে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় কর্মীসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রাসেল মামুন, সালমা সুলতানা সোমা, মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিবসহ অনেকে।