শিবচরে সুস্থ হলেন রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আক্রান্ত কৃষক
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত এক রোগী এন্টিভেনম প্রয়োগের ফলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।গত ১ জুলাই সোমবার উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত চর জানাজাত ইউনিয়নে পাট জাগ দিতে গিয়ে সুলতান বেপারী(৫০) নামের এক কৃষক সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন।শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কৃষক সুলতান বেপারী জমির পাট কেটে পাশের পদ্মানদীতে জাগ দিতে যান। পানিতে নামতেই রাসেলস ভাইপারে ছোবল মারে। সাথে সাথেই স্থানীয়রা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে 'বিষধর' সাপের কামড় বলে নিশ্চিত হন। এরপর তাৎক্ষণিক মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকরা। এন্টিভেনম প্রয়োগের পর রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন।এন্টিভেনম প্রয়োগের পর সুস্থ হয়ে ওঠা সুলতান বেপারী উপজেলার চর জানাজাত ইউনিয়নের রশিদ মোল্লারকান্দি গ্রামের মৃত কাশেম বেপারীর ছেলে।রাসেলস ভাইপারের কামড়ের শিকার সুলতান বেপারী বলেন, ‘পদ্মার চরে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বেড়েছে। সতর্ক থেকে কাজ করার পরও সাপের কামড়ের শিকার হই। পাট জাগ দেবার সময় হাতে সাপটি কামড় দেয়। আমি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হাতের বিভিন্ন স্থানে তিনটি বাঁধ দেয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে চিকিৎসা দেবার পর এখন আমি আল্লাহর রহমতে সুস্থ।’শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ‘সোমবার দুপুরে ওই রোগী হাসপাতালে আসেন। তখন রোগী খুবই অসুস্থ ছিলেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারি বিষধর সাপে তাকে কামড় দিয়েছে। তাছাড়া রোগী নিজেই সাপটি দেখে নিশ্চিত হয়েছিলেন সেটি রাসেলস ভাইপার। এরপর চিকিৎসকেরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রোগীকে এন্টিভেনম দেয়া হয়। এন্টিভেনম দেওয়ার ৩/৪ ঘণ্টা পর থেকে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন।’তিনি আরও বলেন, ‘সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে ঝাড়-ফুঁকের জন্য গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না! যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ যে কোনো সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর আগেও বেশ কয়েকজন সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতিমা মাহজাবিন বলেন, ‘আমরা বুধবার সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় সাপের কামড়ে আহত ওই রোগীকে ছাড়পত্র দিয়েছি। আমাদের হাসপাতালে এন্টিভেনম রয়েছে। শেষ হবার আগেই আমরা চাহিদা দিয়ে থাকি। সাপের কামড়ে আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে যথাযথ চিকিৎসার মধ্য দিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।'