• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৪১:০৩ (04-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৪১:০৩ (04-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

রাঙ্গুনিয়ায় রাস্তার মাঝে পাকা দেয়াল, বিপাকে ১০ পরিবার

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় রাস্তা ঘেঁষে দেয়াল তুলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। মাঝখানে দেয়াল তুলে দিয়েছেন অন্যজন। এতে সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করা ১০ পরিবারের লোকজনের কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। ঘটনাটি উপজেলার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ি এলাকায়।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ি শহীদ ছালেহ আহমদ সড়ক থেকে পশ্চিমমুখী ইটের রাস্তা দিয়ে মৌলভী ছাবের আহমদ বাড়ি সড়ক রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে এলাকার লোকজন চলাচল করছিলেন। রাস্তার দক্ষিণ পাশের জায়গার মালিক স্থানীয় বাসিন্দা সেকান্দর সিকদার ও তার ভাইদের পরিবার। উত্তর অংশের মালিক সফিউল আলম ও তার ভাইয়ের পরিবার।প্রায় ১০-১২ বছর আগে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় জোর জবরদস্তি করে রাস্তার উত্তর অংশে পাকা দেয়াল তুলে দেন সফিউল আলম। কিছুদিন পর রাস্তার দক্ষিণ অংশে চলাচলের রাস্তা সরু করে পাকা দেয়াল দিয়ে দেন সেকান্দর সিকদার ও তাদের পরিবার। এই সড়ক দিয়ে ১০টি পরিবারের লোকজনকে চলাচল করতে হয়।দেয়াল স্থাপন করায় তাঁরা চলাচলে দুর্ভোগে পড়ে যান। বছরের পর বছর এলাকার লোকজন রাস্তাটি দখলমুক্ত করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী লোকজন এ সমস্যার প্রতিকার চেয়ে রাঙ্গুনিয়া পৌর প্রশাসকের শরণাপন্ন হন।ভুক্তভোগী লোকজনের দায়ের করা অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন।সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িঘরের লোকজনকে কষ্ট করে সরু রাস্তায় জল-ময়লা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মালামাল নিয়ে তো চলাফেরা করা যায় না, বরঞ্চ দুইজন মানুষ চলাচল করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। কাঁদাজল মাড়িয়ে বিভিন্ন বাড়ির উঠান দিয়ে ঘুরে বসতঘরে চলাচল করতে হয়।  ভুক্তভোগী ঝিনু আকতার ও কাউসার হোসেন বলেন, একসময় সবাই অনায়াসে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছি। দুইপাশে দেয়াল দেয়াড় কারণে চলাচল করতে কষ্ট হয়। রিকশা ঢুকতে না পারার কারণে ভারী জিনিসপত্র বসতঘরে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। অসুস্থ মানুষকে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিতে কষ্টের সীমা থাকে না।চলাচলের রাস্তার এক পাশে দেয়াল তুলে দিয়েছেন সফিউল আলম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব জায়গাতে দেয়াল তুলেছি। চলাচলের রাস্তা সেকান্দর সিকদারদের ওদিকে। আমি কারো চলাচলের রাস্তা দখল করেনি। চলাচলের রাস্তার মাঝখানে দেয়ালটি দিয়েছেন সেকান্দর সিকদার নামে জনৈক প্রবাসী। তিনি বিদেশে অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।