• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:৩৯:১২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:৩৯:১২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ঘাটাইলে রাস্তার উপর বসতঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

উত্তর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জেরে দীর্ঘ দিনের চলাচলের রাস্তা জুড়ে ঘর তুলে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করেছে প্রতিপক্ষ। এমন অমানবিক কাজের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগণ।১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বড়চলা গ্রামের উত্তর পাড়ার গোরস্থানের সামনে ভুক্তভোগী শমসের আলির পরিবারের পক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে স্থানীয় ছাত্র জনতা নারী পুরুষগণ অংশ নেন। তারা অবরুদ্ধ নিরীহ পরিবারের সদস্যসহ এলাকার জনগণের জন্য পূর্বের মতো চলাচলে বন্ধ করে দেয়া রাস্তাটি অবিলম্বে মুক্ত করার দাবি তুলেছেন।মানববন্ধন চলাকালে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শমসের আলির ছেলে আল আমিন হাসান ছাড়াও এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান, বর্তমান নেতা লিটন মিয়া, গোলাপ বাদশা, ছাত্র মারুফ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।তারা জানান, পাশের বাড়ির আহাম্মদ আলির ছেলে রবিউল হোসেন, বেলায়েতের ছেলে হুমায়ুন কবির, সোহেল রানাদের সাথে শমসের আলির পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলছে। বাড়ি ঘর নির্মাণ করার আগে তাদের দুই বাড়ির মাঝখান দিয়ে পূর্ব পশ্চিম বরাবর সর্বজনীন একটি রাস্তা ছিল। শমসের আলী প্রথমে বাড়ি পাকা করেন। এরপর হঠাৎ রবিউল, হুমায়ুন, সোহেলরা মাঝখান দিয়ে চলাচল করা রাস্তা জুড়ে ঘর তুলে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে তিন বছরে অনেকবার দরবার সালিশ করেও রাস্তাটি মুক্ত করা যায়নি। নিরীহ শমসেরের পরিবার তিন বছর ধরে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন। রিকশা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেই চলাচল দুষ্কর। সন্ধ্যার আগেই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়।আল আমিন হাসান অভিযোগ করেন, স্বাভাবিক জীবন যাপনে তারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। এভাবে একটা সমাজ বা পরিবার চলতে পারে না। আমাদের এক প্রকার গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা এর সমাধারন চাই।অভিযুক্ত রবিউল হোসেন জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘর তোলার স্থানে কোনো রাস্তা ছিল না। সালিশ করে রাস্তা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এজন্য গাছ কেটে দেওয়া হয়েছিল। সে রাস্তায় তারা যায় না। তাদের একক সুবিধা হয় না বলে এমন করছেন।