গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঠি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।লাঠি খেলাটি দেখার জন্য নাটঘর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার দর্শক ভিড় জমান। ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দে চারপাশ আলোড়িত হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে নানান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জনজীবনের নানা দিক প্রদর্শন করেন লাঠিয়ালরা।তারপরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসাধারণ দৃশ্য দেখেন উপস্থিত দর্শকরা। দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর। এই লাঠি খেলায় কুড়িঘর গ্রামের একটি লাঠিয়াল দল অংশগ্রহণ করেন।খেলায় কুড়িঘর মাঠ কমিটির সভাপতি মো. নান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও মো. জাকির সরদারের সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমেরিকা প্রবাসী মাহি এম কাউছার। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ডা. মহি উদ্দিন মহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মমিনুল হক রুবেল, এসএম অলিউল্লাহ, কামাল মেম্বার প্রমুখ।কুড়িঘর লাঠি খেলার সরদার আব্দুল আহাদ বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। আগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, চড়ক পূজা, সুন্নতে খাৎনা ইত্যাদি উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করতেন। এখন আর সেইভাবে আয়োজন করা হয় না।আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার নিয়মিত আয়োজন না থাকায় খেলোয়াড় সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না নতুন কোনো খেলোয়াড়। আর পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পূর্বের মতো লাঠি খেলা দেখাতে পারছেন না। তারপরও তারা এই বয়সে দারুণ খেলা দেখিয়েছেন।