• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:২৯:০১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:২৯:০১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

রমযানের বাজার ধরতে না পারায় লোকসানের মুখে ফরিদপুরের লালমি চাষিরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি: পবিত্র রমযানকে কেন্দ্রো করে ফরিদপুরে ব্যাপকভাবে আবাদ হয় লালমি জাতের বাঙ্গি। এবছর আবহাওয়া জনিতো কারণে রমযানের শুরুতে বাজারে উঠাতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হচ্ছেন চাষিরা। আশ পাশে কয়েকটি জেলায় স্বল্পপরিসরে এই লালমীর আবাদ হলেও কৃষি বিভাগের তথ্য মতে লালমি ফরিদপুর জেলার ফসল এবং এর আবাদ এই জেলাতেই বেশী হয়।পবিত্র রমযান মাসে রোজাদারদের ইফতারের প্লেটের অন্যতম চাহিদার খাবার বাঙ্গী। তাই রোজা এলে চাহিদাও বাড়ে বাঙ্গির। এটি বাঙ্গির একটি জাত লালমি যা ব্যাপকভাবে আবাদ হয় ফরিদপুরের চরাঞ্চলে। পবিত্র রমযান মাসের কথা হিসেব করেই এর আবাদ করেন চাষিরা। এ বছর আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে সময় মতো গাছ হয়নি, হয়নি ফলনও। আবার ফলন হয়েছে নামিতে।প্রতিবছর এই লালমী আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভোবান হলেও এ বছর লোকসানের মুখে চাষিরা। গত বছরও মৌসুমের শুরুতে মাঝারি সাইজের ১০০ লালমি বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা, যা এ বছর সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা দাম পাচ্ছে চাষিরা।সরোজমিনে ফরিদপুর থেকে সদরপুর আঞ্চলিক সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণপুর থেকে সদরপুর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লালমি জমা করে রেখেছেন চাষিরা। মূলত চাষিরা জমি থেকে লালমি তুলে এই সড়কের পাশে এনে রাখেন, পরে পাইকাররা এসে রাস্তা থেকেই লালমি কিনে নিয়ে যান।ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রমযান, মোকসেদ, নাছির, রুকসানাসহ লালমি চাষিরা জানান, তারা প্রতিবছরই লালমির আবাদ করে থাকেন। তাদের টার্গেট থাকে রমযান মাসের শুরুতেই যেন লালমি তোলা যায়। এবছর শীত ও কুয়াশার জন্য সময়মতো আবাদ করাও যায়নি, আবার গাছেও সময় মতো হয়নি ফলন। তাই এবছর লালমি উঠতে দেরি হয়ে গেছে।সদরপুরের কাটাখালী এলাকার চাষী সবুর মোল্যা জানান, রোজার শুরুতে লালমি উঠলে তার দাম ও চাহিদাটা বেশী থাকে। এবছর লালমি উঠেছে ৬ রোজার পরে, আর বেশীরভাগই উঠেছে ১০ রোজার পর। তখন এমনিতেই দাম পরে যায়, আবার সারাদেশের বাঙ্গীও বাজার উঠে, সব মিলিয়ে দাম পাওয়া যায় না।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে জেলায় এবছর ৮০২ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি আবাদ হয়েছে, যার মধ্যে ৫৩২ হেক্টরই লালমি। লালমির বেশী আবাদ হয় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায়। এবছর ছোট সাইজের লালমি প্রতি শ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। মাঝারি সাইজের লালমি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ এবং বড় সাইজটি সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা প্রতি শ হিসাবে বিক্রি হচ্ছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লালমি ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহি ফল বলা যেতে পারে, কেননা এটা শুধুমাত্র ফরিদপুরই হয়। আশে পাশের জেলায় কিছু আবাদ হলেও তা খুবই অল্প। কৃষক রমযানের রোজাকে লক্ষ রেখেই এর আবাদ করে থাকেন। এবছর শীতের কারণে ফলন আসতে দেরি হয়েছে, যার কারণে কৃষকরা হয়তো কিছুটা লোকসানে পরবে। আগামীতে তাদের জন্য পরামর্শ থাকবে আরো আগে আবাদ শুরু করার জন্য, বিশেষ করে উঁচু জমি ও চরের জমিতে এর আবাদ করার জন্য।