• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৯শে চৈত্র ১৪৩১ সকাল ১০:১৬:২৪ (02-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৯শে চৈত্র ১৪৩১ সকাল ১০:১৬:২৪ (02-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে লাশ হলেন অন্তঃসত্ত্বা রেশমা ও তার ছেলে

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: অন্তঃসত্ত্বা রেশমা (২৮) ঢাকা থেকে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার তার স্বামীর সঙ্গে ৬ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে যাচ্ছিলেন মাদারীপুরের ডাসারে। ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বেপরোয়া বাসের চাপায় ছেলেসহ নিহত হন অন্তঃসত্ত্বা রেশমা।২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিয়ের আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামে। বিয়ে বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম । যাদের অবহেলায় এমন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামের মালেক ঘরামির বাড়িতে বিয়ের আয়োজন ছিল। ছোট মেয়ে পুতুল আক্তারের সঙ্গে পাশের মাইজপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল এদিন। আত্মীয়-স্বজন সকলকে  বিয়ের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল।বোনের বিয়েতে অংশ নিতে মোটরসাইকেলযোগে স্বামী-সন্তানসহ বিয়ে বাড়িতে আসছিলেন রেশমা। তবে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেয়ার জন্য তাদের মোটরসাইকেলটি যখন দাঁড়িয়ে ছিল সেই সময় পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রেশমার ছেলে আব্দুল্লাহ। গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রেশমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাগত সন্তানসহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা রেশমা। এই খবর বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে রেশমার পরিবারে। এতে মুহূর্তেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতম ফলে বিয়ের আনন্দ বিষাদে পরিণত  হয়।রেশমার বোন পুতুল আক্তার বলেন, আমরা পাঁচ বোন। আমাদের পাঁচ বোন একসঙ্গে আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবো। সে জন্যে রেশমা বাড়িতে আসছিলেন। কিন্তু সে আসতে পারল না, তার ছেলেও আসতে পারলো না আসলো তাদের লাশ। তার সঙ্গে  অনাগত সন্তানও শেষ  হলো। আমি দোষী ওই বাসের চালককে, হেলপার আর মালিকের বিচার দাবি করছি।এদিকে অনাগত সন্তানসহ দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে রেশমার স্বামী সুমন মিয়ার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দোষীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমি টোলে টাকা দিচ্ছিলাম। ওই সময় পেছন থেকে একটি বাস এসে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিলো ঘাতক বাসের চালক।