শীতের সবজিতে ভরপুর মেহেরপুরের ফসলের মাঠ
মেহেরপুর প্রতিনিধি: সবজির রাজধানী নামে পরিচিত মেহেরপুর জেলা। আর শীতকাল মানেই টাটকা সবজির সমারোহ। ফুলকপি, বাঁধাকপি, করল্লা, ঝিঙা, মূলা, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে ভরে উঠেছে স্থানীয় মাঠগুলো। এ সময় প্রত্যেক কৃষক ব্যস্ত সময় পার করেন সবজি উৎপাদনে।মেহেরপুর জেলার প্রধান ফসল ধান, গম, ভূট্টা, পাট, মরিচ, আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি। তবে এখন বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজি। প্রতিদিন এসব শাক-সবজি নিজেদের চাহিদা মেটানোর পরও বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অনেক চাষি ইতোমধ্যেই আগাম জাতের সবজি খেত থেকে তুলে বিক্রি করে আবারও জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন। ফলে লাভবান হচ্ছে কৃষক।জেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের সবজি চাষি আকাশ আহাম্মেদ বলেন, এ বছর ৪৫ শতক জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে করল্লা চাষ করছি। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এখনও ২৫ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারিনি।সদর উপজেলা চাষি জাহিদুল ইসলাম জানান, তার ১৬ শতক জমি থেকে মাত্র ৩ হাজার টাকা খরচ করে আগাম জাতের লাউ চাষ করে এবার ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। এরপর ওই জমিতে আবারও সবজি চাষ শুরু করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে।সরেজমিন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা প্রতিকেজি করল্লা ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ৩০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, ঝিঙা ২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।জেলা কৃষি উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, শীতের সবজি চাষ করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অতিরিক্ত শীতের সবজি চাষ হবে বলে আশা করছি।