শিশুশ্রম নিরসনে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের শিশু শ্রম নিরসনে ১ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এটি বৃদ্ধি করা হবে। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর ১৩২টি সামাজিক বেষ্টনীমূলক প্রকল্প চালু আছে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা...ইত্যাদি চালু আছে। আমরা আন্ত:মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ বসে যদি একটি সার্কুলার জারি করি যেই পরিবারে শিশু শ্রমিক আছে তাদের ক্ষেত্রে ওই ভাতা পেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।১৪ জুলাই রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুনীতি প্রণয়ন করেন। ইতোমধ্যে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। অষ্টম পনচ বার্ষিক পরিকল্পনায় শিশুদের সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য। এরই মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।তিনি বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সভা-সমাবেশ-সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়াল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আব্দুর রহিম খান প্রমুখ।এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আন্জুমান আরা বন্যা, পীরগন্জ পৌর মেয়র একরামুল হক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল ইসলাম, রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।জনপ্রতিনিধিগণ তাদের বক্তব্যে জানান, জেলার বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল মেকানিক, ওয়েল্ডিং, ইটভাটা...ইত্যাদি জায়গায় শিশুরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছে। সেক্ষেত্রে তাদের পরিবার গুলোকে আর্থিকভাবে বা অন্য কোনো সামাজিক বেষ্টনীতে সহযোগিতা করা গেলে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নচেৎ নয়।সভায় ইএসডিও কর্তৃক জেলার ৭২৮ জন শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে তুলে এনে স্কুলে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।