• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩১:৩১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩১:৩১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

কাভার্ডভ্যানে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশন। এ সমস্ত সিএনজি স্টেশনগুলো এক একটি আস্ত আণবিক বোমা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের ছত্রছায়ায়  লাইসেন্সবিহীন এই সিএনজি স্টেশনগুলো পরিচালিত হতো।এ বিষয়ে একাধিকবার দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পরেও শাহিন আহমেদের ক্ষমতার জন্য প্রশাসনের লোকজন অভিযান পরিচালনা করতে সাহস পায়নি।জানা গেছে, একটি পাম্প তৈরির ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশের সার্টিফিকেট স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ও জেলা পরিষদের অনাপত্তি পত্রসহ সরকারি অনেক দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তবে কেরানীগঞ্জে পাম্পগুলো স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি। এমনকি প্রতি বছর সিএনজির বোতলগুলো পরীক্ষা করার কথা থাকলেও সেগুলো করা হয় না। এছাড়াও বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে বন্ধ করে দেওয়া একটি পাম্প নতুন করে খোলার পরিকল্পনা চলছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোল চত্বর থেকে কোনাখোলা উপজেলা চত্বর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তায় চারটি অবৈধ সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এছাড়াও উপজেলাজুড়ে অন্তত ১২টি এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। সিএনজি স্টেশনগুলোতে বড় কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে করে রাজধানী ঢাকা ও এর আশে পাশের বড় বড় ফিলিং স্টেশন থেকে বোতল ভরে এনে স্থানীয় পদ্ধতিতে গাড়ি বিভিন্ন যানবাহনে রিফিলিং করা হয়। এ ধরনের রিফিলিং খুবই বিপদজনক। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।সর্বশেষ গত বছরের ১০ অক্টোবর কালিন্দী ইউনিয়নের আমিরাবাগ বাদাম গাছতলা এলাকায় একটি সিএনজি পাম্পে ফিলিং করার সময় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর ওই পাম্পটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হলেও আশেপাশের অন্যান্য পাম্পগুলো ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঠিকই খোলা রাখা হয়েছিল।পাম্পে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী মুদি দোকানদার আব্দুল মালেক জানান, একটি প্রাইভেট কারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ করেই মেশিনের ভিতরে আগুন ধরে যায়, আর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এতে মোহাম্মদ রনি নামের পাম্পের এক কর্মচারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এরা যে কাভার্ডভ্যানের মধ্যে করে গ্যাস পরিবহন করে সেগুলো অত্যন্ত পুরাতন এবং লক্করঝক্কর। এক একটি ভ্যানের ভেতরে অন্তত দেড় থেকে দুই শতাধিক বোতল রয়েছে। এটা বিস্ফোরিত হলে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।কালিন্দি ইউনিয়নের দেওশুর এলাকায় আরও একটি পাম্পের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ইলিয়াস মিয়া জানান, আমার বাসা একেবারে পাম্পের পার্শ্ববর্তী, নিজের পৈত্রিক ভিটাবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার উপায় নেই। রাতে অনেক আতঙ্কে থাকি, দুশ্চিন্তায় ঠিকমতো ঘুম আসে না। হঠাৎ কখনো বিস্ফোরণ হলে বাঁচার কোন উপায় নেই। বেশ কয়েকবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে পাম্পটি সরানোর বিষয়ে অনুরোধ করেও কাজ হয়নি।কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে কিভাবে পাম্প পরিচালিত হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে দেওসুর এলাকার পাম্পের ম্যানেজারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। এমনকি মালিকের মোবাইল নাম্বার চাইলেও তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ জানান, সিএনজি পাম্প স্টেশন স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি বিষয়টি সম্প্রতি জানতে পেরেছি। এ ধরনের পাম্পগুলো খুব দ্রুতই অপসারণ করা হবে। যানবাহন চলার ক্ষেত্রে সিএনজি পাম্পের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তাই শতভাগ সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে কেউ পাম্প করতে চাইলে আমরা তাকে সহযোগিতা করব।