লক্ষ্মীপুরে সেতু ধসে লাখো মানুষের ভোগান্তি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে রহমতখালী খালের সেতুটি ধসে পড়ায় দুই পাড়ের বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। দুর্ভোগে পড়েছেন ছোট-বড় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ পাঁচটি গ্রামের লাখো মানুষ। ঝুঁকি জেনেও ধসে পড়া সেতু দিয়েই পার হচ্ছেন শিশু শিক্ষার্থীসহ গ্রামের নারী-পুরুষরা। চলাচলের জন্য দ্রুত বিকল্প সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন কলেজ সংলগ্ন রহমতখালী খালের উপর উত্তর-দক্ষিণমুখী নির্মিত সেতুটি নির্মাণ করেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট ও প্রস্থ ১০ ফুট। চন্দ্রগঞ্জের শেখপুর, রাজাপুর, রামকৃষ্ণপুর, চরশাহী ইউনিয়ন হয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের সঙ্গে এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত রয়েছে। ব্রিজের দুপাড়েই রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ চন্দ্রগঞ্জ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ও চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। ব্রিজ ধসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়েই মানুষ পারাপার হচ্ছেন নিত্য প্রয়োজনে।এলাকাবাসী আরও বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে একবার সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি সেতুটি ধসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি আর ঝুঁকি নিয়ে ধেবে যাওয়া সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, সেতুটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। মেরামতের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক বছর আগেই জানানো হয়েছে। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সব ধরনের যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, রহমতখালী খালের তীব্র স্রোতে সেতুটি ধসে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ওই স্থানে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণ ও বিকল্প সেতুর ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।