• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:০৯:২০ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:০৯:২০ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

দেনার দায়ে সেনবাগ স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: দেখে বুঝার উপায় নেই এটি একটি স্টেডিয়াম নাকি বিরান ভূমি। ঘাস ঝোপ-ঝাড় ও আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। যতদূর চোখ যায় চারদিকে শুধু ঘাস আর ঘাস । জঙ্গলের মত হয়ে থাকা ঘাসের ভিতর রয়েছে সাপ, বিচ্ছুর মত বিষাক্ত প্রত্যঙ্গ এমন অবস্থা নোয়াখালী সেনবাগের বীর বিক্রম শহিদ তরিক উল্যা স্টেডিয়ামের।বিভিন্ন সময় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন হলেও হয়নি উন্নয়ন। সঠিক তদারকি ও দেখ বালের অভাবে এ স্টেডিয়াম চত্বর ইতোমধ্যে মাদক সেবিধের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। বেহাল দশা স্টেডিয়ামের ভিতর ও বাইরের । ১২ বছর বেতন পান না কেয়ারকেটার এবং প্রায় ৭০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।সাবেক বিরোধীদলীয় চীফহুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ২০০৪ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পার্শ্বে আজিজপুর গ্রামের স্থাপন করা হয় সেনবাগ উপজেলা স্টেডিয়ামটি। এরপর ২০১০ সালের ১১ মার্চ স্টেডিয়ামটির নাম করণ করা হয় ‘বীর বিক্রম শহিদ তরিক উল্যা স্টেডিয়াম নামে। এরপর ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পট-পরিবর্তনে একদিন পর স্টেডিয়াটির প্রবেশ গেইটে শহিদ আবু সাইদ স্টেডিয়াম নামে একটি ব্যানার দিয়ে বীর বিক্রম স্টেডিয়ামের নামটি ঢেকে দেওয়া হয়।জানা গেছে, ২০০৬ সালে উদ্বোধনের পর থেকে এ স্টেডিয়ামে দু’টি বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে ২০০৮ সালে চেয়ারম্যান গোল্ড কাপ ও ২০১২ স্বাধীনতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ দু’টি টুর্নামেন্টের মাঝে শীতকালীন ও স্কুল পর্যায়ের কয়েকটি খেলা হয়েছে এখানে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে এ স্টেডিয়ামে কোন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন না করায় বন্ধ হয়ে যায় সকল ধরনের খেলাধুলা। খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেডিয়ামের ভিতরের চারপাশ ঘাসের বিরানভ‚ মিতে পরিণত হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দু’টি দর্শক গ্যালারি, কমেন্টিবক্স ও অফিস কক্ষ। এখান থেকে খেলোয়াড় তৈরির পরিবর্তনে তৈরি হচ্ছে ঘাস ও মাদক সেবী এবং বখাটেদের আড্ডা খানায়।বর্তমান যুব সমাজকে মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়ামটি খেলার উপযোগী করা জরুরি মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি আমাদের এলাকার এই সম্পদটিকে অনতিবিলম্বে সঠিক সংস্কার ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ শেষ করা হোক।২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহেব উদ্দিন রাশেল স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে স্টেডিয়াম জুড়ে ঘাস ও আগাছা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকেদের বলেন বিগত কমিটির দায়িত্বে থাকা লোকজন স্টেডিয়ামের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি। শুধু লুটপাট করেছে তাই স্টেডিয়ামটির খেলার উপযোগী করে তোলার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন।