স্ত্রীর মৃত্যু শোকে ১০ মিনিটের মধ্যে মারা গেলেন স্বামীও
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় স্ত্রীর মৃত্যু শোক সইতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে ১০ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন স্বামীও।১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে। দশ মিনিটের ব্যবধানে এই দম্পতির মৃত্যু খবরে হাসপাতাল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।এ দম্পতি হলো, পারভাঙ্গুড়া ইনিয়নের চর পাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সরোয়ার হোসেন (৩৬) ও তার স্ত্রী লাইলী খাতুন (৩০)।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দু’দিন আগে অসুস্থ হন স্ত্রী লাইলী খাতুন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইলীকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বামী সরোয়ার। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় লাইলীর।স্ত্রীর মৃত্যুতে কাঁদতে কাঁদতে ১০ মিনিট পর স্বামী সরোয়ার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক চেষ্টা করেও সরোয়ারের জ্ঞান ফেরাতে পারেননি। জ্ঞান হারানো অবস্থায়ই মৃত্যু বরণ করেন তিনি।ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাহমিদা সুলতানা জানান, স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তার স্বামী হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। মানুষ হঠাৎ করে বেশি শোক সইতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) নুরুল ইসলাম বলেন, অল্প বয়সে স্বামী-স্ত্রীর এমন মৃত্যুতে গ্রামবাসী গভীরভাবে শোকাহত। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়ির চারপাশে ভিড় করে কান্না করছে।১৩ ডিসেম্বর বুধবার সাকাল ১০টায় স্থানীয় স্কুল মাঠে তাদের দু‘জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে নিজ গ্রামের কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এসময় হাজার হাজার মানুষ জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। প্রায় একযুগ আগে নিজেরাই পছন্দ করে বিয়ে করেন সরোয়ার হোসেন ও লাইলী। সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার কোনো অভাব ছিলনা। আট বছরের এক সন্তানকে নিয়ে তাদের অমলিন ভালবাসার এক সুখের সংসার ছিল।