২ কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত
বাগেরহাট প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত জীবনাচরণ জানতে এশিয়া মহাদেশে এই প্রথম দুটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।১৩ মার্চ বুধবার রাতে পশ্চিম সুন্দরবন বন বিভাগের কুমির প্রজনন এলাকা হিসেবে খ্যাত ভদ্রা নদীতে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) পক্ষ থেকে লবণ পানি প্রজাতির (সল্ট ওয়াটার কোকোডাইল) প্রাপ্তবয়স্ক দুটি স্ত্রী কুমির অবমুক্ত করা হয়।পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করা স্ত্রী কুমির দুটির মধ্যে একটি সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে লালন-পালন করা ৩৪ বছর বয়স্ক কুমির জুলিয়েট ও অন্যটি যশোরের সাগরদাড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা ১২ বছর বয়স্ক কুমির মধু। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সুন্দরবন বিভাগ।স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার সময় আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সরোয়ার আলম দীপু, অস্ট্রেলিয়ার বন ভিভাগের কুমির বিশেষজ্ঞ ড. পল, শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. রু সোমাউইরা, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।এ সময় সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির জানান, বন বিভাগ ও আইইউসিএনের যৌথ উদ্যোগে এশিয়া মহাদেশে এই প্রথম পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে কুমির দনীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। কুমির দুটির পিঠে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য কুমিরের মুক্ত জীবনাচরণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা সম্ভব হবে। কুমিরের খাবার, চলাফেরা, রোগবালাই ও প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকাসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বসে জানা যাবে। ফলে কুমিরের খাবার ও চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।