আখাউড়া স্থলবন্দরে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রথমবারের মত যাত্রী সেবার মান বাড়াতে টুয়েলভ ইভেন্ডস মিট গ্রেট এসিস্টের উদ্যোগে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করা হয়েছে।২৩ আগষ্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশে হেল্প ডেস্ক অফিস কক্ষে টুয়েলভ ইভেন্টের (এমজিএ) সিও উইং-কমান্ডার(অব.) এটিএম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এই বন্দরে হেল্প ডেস্ক সেবা সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এতে করে এই দিক দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণকারী যাত্রী সেবার মান আরেক ধাপ উন্মোচিত হয়েছে।আগে যাত্রীদের নিজে বহন করে লাগেজে নিয়ে যেতে হত, এখন এ সেবা চালু হওয়াতে ইলেকট্রিক্যাল বাঘিকারের মাধ্যমে শূন্য রেখা পর্যন্ত যেতে পারবে নাম মাত্র একটি চার্জের বিনিময়ে। এ বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যাজাই মারমা বলেন, এই প্রথম আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রীসেবা বৃদ্ধিতে একটি হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। আমাদের এই স্থলবন্দর আধুনিক পরিসেবায় প্রবেশ করেছে। এই পরিসেবার মাধ্যমে আমরা আশা করছি যাত্রীরা এখন সহজেই পারাপার হতে পারবে।যাত্রীদের নিরাপত্তায় এই হেল্প ডেস্কে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। টুয়েলভ ইভেন্ডস মিট গ্রেট এসিস্ট এর সিও উইং কমান্ডার (অব.) এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে, আমরা একটি যাত্রী সেবা বান্ধব দেশ হিসেবে কাজ করতে চাই। সেই জন্য যাত্রী সেবার মান নিশ্চিত করেত স্থলবন্দরের সহযোগিতায় বেসরকারিভাবে আমরা একটি হেল্প ডেস্ক সেবা চালু করেছি। এই হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে অল্প খরচের আমাদের এখান থেকে শূন্য রেখা পর্যন্ত ইলেকট্রিক্যাল বাঘিকার দিয়ে যেতে পারবে যাত্রীরা। সেই সাথে অসুস্থ রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এখান থেকে বিমান ও ট্রেনের টিকেট কাটা যাবে খুব সহজেই । যাত্রী সেবার মান নিশ্চিত করেত আমাদের এই হেল্প ডেস্ক সর্বোচ্চভাবে কাজ করবে।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান, রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান, স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হাসান মাহমুদ ভূইয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।