জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অভিমত জানাতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরাও
নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে অভিমত নেওয়া হচ্ছে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রেস উইং জানিয়েছে, আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন। পাঠানোর ঠিকানা- মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়’ এই ঠিকানায়। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত আপনাদের অভিমত জানাতে পারবেন। অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং তা জনগণের উপস্থিতিতে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, গণতন্ত্র মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নেন।বৈঠক শেষে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিও গঠন করা হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত একটি কর্মকৌশল ঠিক করা হবে।বৈঠকের আলোচনা নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন, এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন (পরামর্শ) এসেছে। মোটাদাগে হলো ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক বা আইনি প্রকৃতি কী হবে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে।তিনি আরও বলেন, এটার জন্য যতটা সময় লাগা প্রয়োজন, ততটা সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে অযথা কালবিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ যেন না হয়। সবাই একমত পোষণ করেছে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত।সবাই এই প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার আশাবাদ জানিয়েছেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সবাই একত্রে যেভাবে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি, তেমনি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারব।ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনোরকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধু কী পদ্ধতিতে এটা করা হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। সব মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই।