• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:১৭:০৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:১৭:০৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ভারতীয় চাদর ছুঁড়ে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনের সূচনা করলেন রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। ভারতীয় চাদর জনসম্মুখে ছুঁড়ে ফেলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।২০ মার্চ বুধবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ভারতীয় পণ্য চাদর ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। এর আগে বক্তব্যে রিজভী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই এখন ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনে উত্তাল। ভারতীয় পণ্য বর্জন করে জনগণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে। সুতরাং জনগণের দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রকামী দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে বলে জানান তিনি।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবু কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, বিএনপি নেতা মো সিরাজুল ইসলাম খান, নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, হুমায়ুন কবির, যুবদলের মেহবুব মাসুম শান্ত, কামরুজ্জামান জুয়েল, ওলামা দলের প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ওমর ফারুক কাওসার, ডা. আউয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ।এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হত্যা এবং বিনা ভোটে অবৈধ ক্ষমতার অমরত্ব লাভের অপচেষ্টায় প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদের স্বীকারোক্তি প্রদান করে জোর গলায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। কথায় কথায় প্রায় সব মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মত্ত হচ্ছেন। তাদের কথাবার্তা ও আচার-আচরণে মনে হচ্ছে-বাংলাদেশ এখন ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।রিজভী বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন বা শক্তিতে নয়, ভারতের শক্তি ও সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতার সিংহাসনে টিকে আছে। আর এই টিকে থাকার জন্য যত দলন-পীড়ন, গুম-খুন-হত্যা-মামলা-হামলা- অবিচার-অনাচার সব কিছু করছে সরাসরি ভারতের মদদে। ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদের অকপট স্বীকারাক্তি প্রমাণ করে জাতিসংঘ সনদের ২ (৪) ধারা সরাসরি লংঘন করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার সব কিছুর উপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে। ২ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সকল সদস্য-রাষ্ট্র আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন থেকে এবং জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো উপায় গ্রহণ করা থেকে নিবৃত্ত থাকবে’।রুহুল কবির রিজভী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই এখন ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনে উত্তাল। ভারতীয় পণ্য বর্জন করে জনগণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজধানীতে মিছিল সমাবেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হচ্ছে। সচেতন মানুষ বলছেন, ভারতের পণ্য কিনলে তা বুলেট হয়ে জনগণের রক্ত ঝরাচ্ছে। আর এতে আঁতে ঘা লেগেছে ওবায়দুল কাদেরদের। জনগণের সামনে পরিষ্কার যে, গত তিন দশক আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় নির্বাচনের নামে তামাশা করে আসছে। গত ৭ জানুয়ারি বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। ভারতের সমর্থন মানে ভোট না দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারে। জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হয় না। সুতরাং জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হত্যা, গুম-খুন-অবিচার-কুশাসনের জন্য ভারত দায়ী বলে জনগণ মনে করে। ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে নয়, আওয়ামী লীগের পক্ষে। জনগণ তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করে। জনগণ স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ‘ভারত হটাও’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে। নিরস্ত্র মানুষের একটাই ব্রত এখন তারা কষ্টার্জিত পকেটের পয়সায় গণধিকৃত আওয়ামী লীগ সরকারের মদদদাতা ও শক্তির উৎস ভারতের পণ্য কিনবে না।