• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:৪২:১১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:৪২:১১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বিলীন শতশত পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ: কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙনের ফলে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে শাল্লা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রাম। এই গ্রামে হাজার মানুষের বসবাস থাকলেও নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই। শতশত একর জমি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। এছাড়াও কুশিয়ারার ভাঙনে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাহপুর গ্রামেও শতশত পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে।নদীর আগ্রাসীর থাবায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত-ভিটাসহ ফসলি জমি। নদী ভাঙন থেকে উপজেলার প্রতাপপুর ও ফয়েজুল্লাহপুরকে রক্ষা করতে হলে চারিদিক ব্লক বা ড্যামপিং ব্যবস্থা করে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের উদ্যোগ গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।প্রতাপপুর গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মন্দিরসহ কয়েক বছরে গ্রামের পুরোনো পাড়াগুলো কয়েকটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় প্রতাপপুর বাজার, ফয়েজুল্লাহপুর গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতাপপুর বাজার বেশির ভাগ অংশ ভাঙনে পড়েছে। আর পুরনো গ্রাম ভাঙনের কবলে গিয়ে নতুন করে অন্যত্রে বসবাস করেও রক্ষা পাচ্ছে। কুশিয়ারা দিন দিন ভয়ানক রূপ ধারণ করে নতুন গ্রামেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষেরা দ্রুত নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন।প্রতাপপুর বাজার কমিটির সভাপতি পীযুষ দাস বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে প্রতাপপুর গ্রাম। এমনকি বাজারের বেশিরভাগ অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। আর মাস দুয়েক ভাঙন অব্যাহত থাকলে প্রতাপপুর বাজার বিলীন হয়ে যাবে।তিনি আরও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর জিও ব্যাগের নামে বরাদ্দ আনলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।যোগাযোগ করা হলে দিরাই শাল্লা আসনের এমপি ড. জয়াসেন গুপ্তা বলেন, গত বছর প্রতাপপুর ও ফয়েজুল্লাহপুরের ভাঙন নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন জরুরিভাবে ভাঙনরোধ প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করা হবে।শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রিপন আলী জানান, প্রতাপপুরসহ ৫টি জায়গায় নদী ভাঙন রোধ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তনুযায়ি প্রকল্প গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।