• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:১৯:২০ (05-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:১৯:২০ (05-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কেএমপি কমিশনার

খুলনা প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক। ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেএমপি সদর দপ্তরে খুলনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে এক সভায় তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।এ সময় শিক্ষার্থীদের নানামুখী প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেনো এগুলো করতে হয়েছিল তা এই আইনের অধীনে থাকলে তোমরা বুঝতে। এ নিয়ে আমি তোমাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।’এতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল মুজাহিদ আকাশ। তিনি পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে কেনো আপনারা আমাদের ওপর গুলি চালালেন। ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর আপনারা কে? কার নির্দেশে আপনারা আমাদের ওপর গুলি চালালেন?’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘আগামীর দিনগুলো আমাদের সঠিকভাবে সাজিয়ে নিতে হবে।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তুহিন। পুলিশের সঙ্গে তারা উপস্থিত থাকায় ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা।সমন্বয়ক তানভীর বলেন, ‘আপনারা এতদিন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন৷ এখন আরেকটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে আমাদের সঙ্গে সভা করার জন্য ডেকেছেন। আপনাদের চাটুকারিতা কমেনি। আমরা আপনাদের চাটুকার পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি চাই। আপনারা নিজ বিভাগের মধ্যে সংস্কার করেন। চাটুকারিতা বাদ দেন।’সমন্বয়ক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘প্রয়োজনে ২০ বছর এই জাতীয় সরকার থাকবে। তবে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মতো দলকে আমরা ক্ষমতায় চাই না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। আমরা এই দেশটা সাজাতে চাই, নষ্ট করতে চাই না।’ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘সাম্প্রতিক যেসব সহিংসতা ঘটেছে, এতে যদি বিএনপির কোনো কর্মী জড়িত থাকে তবে তাদের বিচার করা হবে।’এক পর্যায়ে সভা শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিতে চান পুলিশ কমিশনার। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, ‘রাত ৯টায় যশোর ক্যান্টনমেন্টে জিওসির সঙ্গে আমাকে বৈঠক করতে হবে। আগামীকাল এই সভাটিতে আবারও আমরা বসবো।’ এ সময় ছাত্ররা তার কথায় সম্মতি জানান।