• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৪:০৬:৩৪ (25-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৪:০৬:৩৪ (25-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

বীরগঞ্জে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিপণি বিতানগুলোতে এখন চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমী পর্যন্ত চলবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পূজার কেনাকাটা মহাঅষ্টমীর মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।বীরগঞ্জের শাড়ির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নারীরা। বেচাকেনা চলছে অন্যান্য পোশাকের বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এখন আগের তুলনায় ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে ব্যাপক হারে পূজার কেনাকাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের পছন্দমতো পণ্য কিনতে পারছেন।নারীদের পোশাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সালোয়ার কামিজ, জামদানি শাড়ি, বলাকা সিল্ক, কাতান শাড়ি, লেহেঙ্গা ও তাঁতের শাড়ি। ছেলেদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের ধুতি, শর্ট পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট। স্বল্প আয়ের মানুষ কেনাকাটা করছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে। পূজা উপলক্ষ্যে দর্জির দোকানগুলোতেও ব্যাপক ক্রেতা সমাগম হচ্ছে।দুইদিনে বীরগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ঘুরতে গিয়ে দেখা যায়, শিশুদের পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন। আবার কেউ কিনছেন শাড়ি, কেউ পাঞ্জাবি, কেউ আবার কিনছেন জুতা। প্রায় সবার হাতেই ছিল শপিং ব্যাগ। প্রতিটি দোকানেই ছিল ক্রেতা।বীরগঞ্জের ৫নং সুজালপুর ইউনিয়ন থেকে কৃষ্ণা রানি তার স্বামীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছেন। মসজিদ মোড়ের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে নিজের এবং পরিবারের সবার জন্য শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, প্যান্ট ও শার্ট কিনছেন।তিনি বলেন, বাবার জন্য জামা প্যান্ট কিনেছি ২৫০০ টাকায়। দাদুর জন্য ১০০০ টাকায় ফতুয়া কিনেছি। আগেই ঠাকুমার জন্য এবং ছোট বোনের জন্য প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকার কেনাকাটা করা হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হয়েছে।বীরগঞ্জের পৌরশহরের নতুনপাড়ার বাসিন্দা শ্যামল সাহা মসজিদ মার্কেটের বিপণি দোকানে কেনাকাটা করতে এসেছেন ছয় বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ হাজার টাকার বিভিন্ন রকমের পোশাক কিনে গ্রামের বাড়ির সদস্যদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। আর এখানে আমার স্ত্রীর জন্য ২৬০০ টাকার একটি কাতান শাড়ি কিনেছি। ছেলের জন্য প্যান্ট এবং শার্ট কিনেছি ২২০০ টাকা দিয়ে এবং মেয়ের জন্য একটি হাতা কাটা জামা কিনেছি ১০০০ টাকা দিয়ে।বীরগঞ্জের মসজিদ মার্কেটের আদি দয়াল স্টোরের দোকানমালিক নিরঞ্জন সাহা বলেন, গত কয়েকদিন দিন যাবত ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। আমাদের এই মার্কেটটা মূলত মধ্যবিত্তদের জন্য। তাই বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রেতারা আমাদের এখানে আসেন। পূজা উপলক্ষ্যে সপ্তাহের সাতদিনই মার্কেট খোলা রাখা হচ্ছে।