• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:২৪:০৮ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:২৪:০৮ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেল-জরিমানায়ও বন্ধ হচ্ছে না ভেজাল গুড়ের কারখানা

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: আসন্ন রমজান উপলক্ষে অধিক মুনাফা লাভের আশায় গো-খাদ্য হিসেবে ভারত থেকে আমদানি করা গুড়, সাথে চিনি, ময়দা, ডালডা, হাইড্রোজ ও টেক্সটাইলের রং মিশিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে কুষ্টিয়ার খোকসায়। ভেজাল এই কারবার চলছে উপজেলার পৌর এলাকার ডাকবাংলো ও কালীবাড়ি রোডের দুটি কারখানায়।চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ভেজাল এই গুড় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রশাসন। এদিকে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না ভেজাল গুড় তৈরীর এই কারখানা দুটি।রমজানের সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় এক গ্লাস গুড়ের শরবত রোজদারদের দেহ-মনে নিয়ে আসে এক নিবিড় প্রশান্তি। এ কারণে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে গুড়ের চাহিদা একটু বেশি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খোকসায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় গো-খাদ্য হিসেবে ভারত থেকে আমদানি করা গুড়, সাথে চিনি, ময়দা, ডালডা, হাইড্রোজ ও টেক্সটাইলের রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল গুড়।এলাকাবাসী জানান, নিত্য গোপালের মাতৃভান্ডার ও দীলিপ বিশ্বাস ষষ্ঠির দীলিপ ট্রেডার্সে বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে এই ব্যবসা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযান শেষ হলেই শুরু হয় ভেজাল মিশ্রিত এই গুড় উৎপাদনের কাজ। এই গুড় প্রতিদিন কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী অঞ্চলসহ যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান সোহেল জানান, এই গুড় মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। লিভারের ক্ষতিসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই গুড়ে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারখানার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।তবে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানার মালিকরা কয়েকবার জরিমানা দিলেও বন্ধ হয়নি এই ভেজাল ব্যবসা। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কারখানার কর্মীরা দাবি করেন, এই গুড়ে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।