৪০ বছর পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় গরুর হাট সরকারের নিয়ন্ত্রণে
স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা: চল্লিশ বছর পর প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় কোটি টাকা রাজস্বের একটি গরুর-হাট।উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের নৈহাটি বাজার অবৈধভাবে গরুর-হাট বসিয়ে বছরে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আসছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি সেনাবাহিনীর সহায়তায় দিনভর হাটে উপস্থিত থেকে খাস-কালেকশানের মাধ্যমে হাটে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সময় সেনাবাহিনীর মেজর নাজমুশ সাকিব ও অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, চিরাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নৈহাটি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম, তার ভাই আলামীন ও তাদের লোকজন স্থানীয় একটি ওয়াকফ এস্টেট ও মাদ্রাসাকে সাহায্যের নামে নৈহাটিবাজারের পাশে চিরাম মৌজার ১০২২, ১৬৫৪ ও ১৮৪৩ নং খতিয়ানের ৪৭৯৪, ৪৭৯৩ ও ৪৭৯৫ নং দাগের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ৪০ বছর ধরে গরুর হাট পরিচালনা করে আসছিলেন। এ নিয়ে মামলা হলে তারা বাজারটিকে নৈহাটি মৌজায় সরিয়ে নেন এবং টোল কালেকশানের নামে চাঁদা আদায় অব্যাহত রাখেন।প্রশাসনের কাছে অভিযোগ ও আদালতে মামলার পরও তাদের দখলমুক্ত করা যায়নি বাজারটি। প্রতি সোমবার হাট বসে এখানে। প্রতি হাটে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা কালেকশান হয়। এই হিসাবে বছরে দেড় কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন তারা।স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়মের প্রতিকারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এখন বাজারটি সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ায় প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্হানীয় জনসাধারণ। অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর হেফজতে থাকায় ও তার ভাই আল-আমীন গোপনে থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কারণে হাটে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সোনাহিনী ছাড়াও এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ সাহায্য করেছেন। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।