মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, আটক ১১
খুলনা ব্যুরো: খুলনায় সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানায় পুলিশ, নৌবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। যৌথ বাহিনীও গুলি করে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ২৯ মার্চ শনিবার মধ্যরাতে নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাড়ি ঘেরাও করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১১ জনকে আটক করেছে। এ সময় কয়েকটি পিস্তল ও বিপুল সংখ্যক গুলি জব্দ করা হয়েছে।আটকরা হলো, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ (৩৩), কালা লাভলু (রুবেল ইসলাম) (৩৫), মো. আরিফুল (২৭), ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), ইমরানুজ্জামান (৩৩), ইমরান (৩৫), রিপন (৩৮), সৈকত রহমান (২৭), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং মো. গোলাম রব্বানী (২৬)।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. হাই জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে সন্ত্রাসীরা সোনাডাঙ্গা থানাধীন বানরগাতী এলাকার আরামবাগ সংলগ্ন একটি বাড়িতে বসে মিটিং করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পেছনে হাটতে থাকে এবং আহত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার সহযোগী কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ৩টি পিস্তল, ১টি একনলা শর্টগান, ১টি কাটা বন্দুক, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৭টি দামি মোটরসাইকেল। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রগুলো বাড়ির পেছনে এবং পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান বলেন, প্রথমে সংবাদ পাই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে গোপন মিটিং করছে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের ঘেরাও করি। একইসঙ্গে যৌথ বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। যৌথ বাহিনীও এসে বাড়িটি ঘেরাও করে।তিনি আরও বলেন, আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসীরা কিছুক্ষণ পর পর গুলি করছিল। আমরাও গুলি করেছি। রাত ১২টার পর থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে আমাদের দুই পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অন্ধকার থাকায় আমরা ওই স্থানটি এখনো ব্লক করে রেখেছি, সকালে আবারও সেখানে অভিযান চালানো হবে। সন্ত্রাসীরা গুলি করছিল আর অস্ত্র ও গুলি নিচে ফেলছিল। অনেক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।